নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি: আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো হয়ে উঠবে একাডেমিক পড়াশোনার প্রধান জায়গা। আমরা সুনির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ক্লাশ করবো, সুনির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পরীক্ষা নিব। সেজন্য আমরা একাডেমিক ক্যালেন্ডার করে দিচ্ছি। ছাত্ররা যেমন হলে উঠবে তেমনি পড়াশোনা শেষে হল থেকে বেরিয়ে যেতে হবে-এ ধরনের মানসিকতা নিয়ে সকলকে মিলেমিশে হলে থাকতে হবে বলে বক্তব্য প্রদান করেছেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর।
বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ে নবনির্মিত দুটি আবাসিক হল ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল’ ও ‘বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল’-এর আসন বরাদ্দ ও চাবি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এই বক্তব্য প্রদান করেন।
এসময় তিনি বলেন, আমাদের এই শিক্ষাবান্ধব সরকার শিক্ষার জন্য বিনিয়োগে প্রস্তুত। আমাদের অনেক পরিকল্পনা আছে এই বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ে। আপনারা শুধু একটি শিক্ষাবান্ধব,শান্তিপূর্ণ পরিবেশ তৈরিতে সহায়তা করুন।
ইতোপূর্বে ১ জানুয়ারিতে নবনির্মিত দুটি হল চালুর দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বাসভবন ‘দুখুমিয়া বাংলো’ অবরোধ এবং আমরণ অনশন করার কর্মসূচিতে উপাচার্য বলেছিলেন, ২১ জানুয়ারির পূর্বে হল খুলে দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। সেই ঘোষণার ধারাবাহিকতায় উপাচার্যের নেতৃত্বে মধ্য দিয়ে নির্ধারিত সময়ের একদিন আগেই ছাত্রছাত্রীদেরকে দেওয়া হল চালু করার অঙ্গীকার পূরণ করেছেন তিনি।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভোস্ট মাসুম হাওলাদার ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট নুসরাত শারমিনের যুগ্ম সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর। বহুল প্রতিক্ষীত নতুন হল চালু উপলক্ষে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সাজ সাজ রব পড়ে গেছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে হল চালু করায় তারা উপাচার্য প্রতি তাদের কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন।
এসময় নতুন হল দুটি নির্মাণ ও চালুর ব্যাপারে সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা জানান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, শিক্ষা সচিবসহ সরকারের বিভিন্ন মহলকে।
চাবি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ট্রেজারার প্রফেসর মো. জালাল উদ্দিন, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. নজরুল ইসলাম, রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীর। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন প্রক্টর ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দফতরের পরিচালক ড. তপন কুমার সরকার, বঙ্গবন্ধু নীল দলের সাধারন সম্পাদক ড. সেলিম আল মামুন, শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মুহাম্মদ এমদাদুর রাশেদ, কর্মকর্তা পরিষদের সভাপতি প্রকৌশলী মো. জোবায়ের হোসেন, নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো.নজরুল ইসলাম বাবু ও সাধারন সম্পাদক মো. রাকিবুল হাসান রাকিব।
উল্লেখ্য, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের ধারণক্ষমতা ১২৮৪ ও ১১৭৫ জন করে শিক্ষার্থী। চাবি হস্তান্তর প্রক্রিয়ার মধ্যদিয়ে শিক্ষার্থীদের বহুল প্রতিক্ষীত হল চালুর দাবিটি পূরণ হলো।