আবুল বাশার রিপন খলিফা
বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধিকারের চেতনায় বিশ্বাসী শিক্ষক পরিষদের একজন সাধারন সদস্য হিসেবে আমার বিবেচনাবোধ:
আমাদের শিক্ষকদের পেশাগত অধিকার, হতে পারে তা একাধিক যেমন কারো যদি প্রফেশনাল বিষয়ে অভিজ্ঞতা থেকে থাকে, আবার শিক্ষক হিসাবে অভিজ্ঞতা থাকে। আত্মমর্যাদা রক্ষা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক মান উন্নয়নে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদ, মাননীয় উপাচার্য, দাতা সংস্থা, সরকার ও নিজস্ব প্রশাসনের সঙ্গে ‘অধিকার আদায়’ বিষয়ে শিক্ষক সমিতির অপরিহার্য প্রয়োজনীয়তা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তোলার কিছু নেই। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকেই শিক্ষকদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের ব্যাপারে কাজ করে আসছে । এ ক্ষেত্রে শিক্ষক সমিতির সফলতা ও ব্যর্থতা দুই-ই কমবেশি আছে। সফলতার জন্য শিক্ষক সমিতি যেমন সাধুবাদ যোগ্য তেমনি ব্যর্থতার জন্য দায় নিতেও বাধ্য।
শিক্ষক সমিতি নির্বাচন উপলক্ষে এক বছর পর প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারাভিযানে দেখা গেলেও নির্বাচন–পরবর্তী সময়ে সাধারণ শিক্ষকদের সঙ্গে শিক্ষক সমিতির নেতাদের যোগাযোগ আর হয় না বললেই চলে, একথা অন্তত গত সমিতি ক্ষেত্রে অবান্তর । কেন না কোভিড মহামারীর মধ্যেও শিক্ষকদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের জন্য গত সমিতির কার্যকরী পরিষদ একশতেরও বেশি মিটিং করতে বাধ্য হয়েছে।
ইউজিসি উচ্চশিক্ষা নিয়ে অভিন্ন নীতিমালা প্রণয়ন করে তা আমাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করে ফেললেও গত শিক্ষক সমিতি নীরব থাকেনি। যদিও বলা হয় পরিস্থিতির কারণে সাধারণ শিক্ষকেরা নিজেরাই সংগঠিত হন নিজেদের অধিকার আদায়ে, তাহলে শিক্ষক সমিতি প্রয়োজন কেন? শুধুই কি ব্যক্তি ও গোষ্ঠীস্বার্থ নিশ্চিত করার জন্য? দল, সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহমত-পক্ষ হিসেবে ক্রিয়াশীল থাকার জন্য? না গত সমিতি তা কখনো করেনি।
শিক্ষকদের সার্বিক এবং সামগ্রিক স্বার্থ রক্ষায় দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা তারা নিরলসভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে গেছে ।কোথাও সফল হয়েছে আবার কোথাও বিফল, কিন্তু হাল ছাড়েনি, আর সময় এখনও শেষ হয়নি। বিগত শিক্ষক সমিতির বেশ কিছু অর্জন যেমন শিক্ষকদের ন্যায্য পদোন্নতি, শিক্ষা ছুটির বিপরীতে নিয়োগপ্রাপ্তদের স্থায়ীকরণ ও পদোন্নতি এবং পারিতোষিক পরিমাণ বৃদ্ধিকরণ ।হ্যাঁ পারিতোষিক এর ক্ষেত্রে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল না পেলেও অনেকদূর পর্যন্ত কাজকে এগিয়ে রেখেছেন। এগুলোর মধ্যে শিক্ষক সমিতির অর্জন কোনটি আর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অর্জন কোনটি, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
ক্যাম্পাস ছাড়ার অনুরোধ ভিসির, ভিসির পদত্যাগ চান শিক্ষার্থীরা
স্বার্থের সংঘাত বা কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট ঊর্ধ্বে কত দূর পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে তার উদাহরণ হিসেবে এবারের শিক্ষক সমিতির প্যানেলর দিকে তাকানোই যথেষ্ট। এবার যাঁরা শিক্ষক সমিতির বিভিন্ন পদে নির্বাচন করতে ইচ্ছা পোষণ করেছেন, তাঁদের প্রায় সবাই কোনো প্রশাসনিক পদে নাই। ১৫ জন প্রার্থীর মধ্যে কেবল কয়েকজন কিছু প্রশাসনিক পদে আছেন। অথচ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের চিত্র পুরোটাই উল্টো।এতে স্পষ্ট ধারণা পোষণ করা যায় যে যাঁরা শিক্ষক সমিতির নেতৃত্বে আসতে চান তাঁদের কেউই প্রশাসনিক পদের জন্য লালায়িত নয়।
আমি শিক্ষকদের ক্ষুদ্র একজন প্রতিনিধি হিসাবে মনে করি:
১. বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রশাসনিক পদে যাঁরা যুক্ত আছেন (প্রাধ্যক্ষ, ডিন, উপদেষ্টা, প্রক্টর) নির্বাচনে জয়ী হলে প্রশাসনিক পদ থেকে তাঁরা পদত্যাগ করবেন এবং শিক্ষক সমিতির নতুন নেতৃত্ব বিভিন্ন প্রশাসনিক পদের কাউকে ভবিষ্যতে নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করবেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নতি সাধনের জন্য যদি প্রশাসন মনে করেন কাউকে কোনো বিশেষ পদে পদায়ন করবেন তবে সেটা ভিন্ন।
২. প্রভাষক থেকে অধ্যাপক পদের সবার পদোন্নতির ক্ষেত্রে প্রাপ্যতার তারিখ থেকে নীতিমালা পরিবর্তনের মাধ্যমে আপগ্রেডেশন বা পদোন্নতি নিশ্চিত করতে হবে।
৩. বর্তমান শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী সদস্যরা সারা বছর ধরে শিক্ষকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবেন এবং তাঁদের গোষ্ঠীগত ও ব্যক্তিগত অভিযোগ বিবেচনায় নিয়ে দরকার হলে বিশ্ববিদ্যালয় ও রাষ্ট্রীয় প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করবেন। অপারগ হলে পদত্যাগ করবেন।
৪. এবারে নির্বাচিত হলে শিক্ষক সমিতির বড় পদে (সভাপতি, সহসভাপতি, কোষাধ্যক্ষ, সাধারণ সম্পাদক) একই ব্যক্তি যেন দুবারের বেশি নির্বাচিত না হতে পারেন, সাধারণ সভার মাধ্যমে সে বিষয়ে নীতিমালা গড়ে তুলতে হবে।
৫. শিক্ষার্থীরাই আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ। শিক্ষার্থীদের বড় ইস্যুগুলো শিক্ষক সমিতি এড়াতে পারে না। শিক্ষার পরিবেশ রক্ষা, শিক্ষার্থীদের জন্য যথা সময়ে ইন্টার্ন এর ব্যবস্থা করা, প্রশিক্ষণ কর্মশালা, ছাত্রাবাসে বসবাসের পরিবেশ এবং বিশেষত তাঁদের ওপরে প্রায়ই যে নিপীড়নের ঘটনা ঘটে, তা নিয়েও সমিতিকে কাজ করতে হবে। মনে রাখতে হবে, বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা শিক্ষকগণ উপস্থিত আছি আমাদের সন্তানতুল্য শিক্ষার্থীদের দক্ষ করে গড়ে তোলার জন্য। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও কল্যাণ নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে শিক্ষক সমিতির নির্লিপ্ততা কখনোই গ্রহণযোগ্য হবে না।
সর্বোপরি আমি মনে করি, শিক্ষকের মানোন্নয়ন ছাড়া শিক্ষার মানোন্নয়ন সম্ভব নয়।কোন একটি জাতির উন্নতি, সভ্যতা ,সততা ,জাতির বিবেক, উন্নয়ন-অগ্রগতি বিশেষ করে মানব সম্পদ উন্নয়ন ক্ষেত্র প্রস্তুত এর ক্ষেত্রে আমরা সর্বদা প্রস্তুত থাকবো। বিশেষভাবে আমি বলতে চাই আমি ব্যক্তি হিসাবে আমার যতটুকু সামর্থ্য আছে তা সর্বোচ্চ প্রয়োগ করে আমি সমিতিকে সাহায্য করবো। গবেষণার ক্ষেত্রে ছাত্র-শিক্ষকদের সমন্বয় সাধন করে দেশের গবেষণা কে এগিয়ে নিয়ে বিশ্বের দরবারে একটি উন্নত জাতি , মর্যাদা সম্পন্ন সমাজ হিসেবে গড়ে তোলা কেবল তখনই সম্ভব যখন শিক্ষকরা নৈতিকতার সাথে,একাগ্রতার সাথে,আইনের শাসনের মাধ্যমে তাদের ছাত্র-ছাত্রীদের গবেষণার উদ্বুদ্ধ করতে পারবে। সে লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য প্রয়োজন প্রগতিশীল, মেধাবী ও সৃজনশীল ব্যক্তিদের শিক্ষকতায় আকৃষ্ট করা। বিশ্বের যে কোন জাতির জ্ঞানের মানদণ্ডে যাচাইয়ের জন্য প্রয়োজন সভ্যতার মানদণ্ড ,গণতান্ত্রিক মানদণ্ড এবং গবেষণার মানদণ্ডে যাচাই করা। যার দায় একজন শিক্ষক হিসেবে এবং শিক্ষক সমিতি হিসাবে সামগ্রিকভাবে আমরা কখনও এড়াতে পারি না।
আমাদের শিক্ষকদের কাজই হচ্ছে নতুন নতুন সৃষ্টির মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদেরকে বিকশিত করে তাদেরকে লালন পালনের মাধ্যমে সঠিক মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা।যেমন নাকি বাবা-মা রয়েছেন বাচ্চাদেরকে সুন্দরভাবে লালন-পালন করে সমাজের মাঝখানে মানুষ হিসাবে গড়ে তোলার জন্য। শিক্ষকের প্রয়োজন তার জ্ঞানকে প্রসারিত করার লক্ষ্যে কিছু প্রয়োজনীয় সুবিধা যেমন তার ব্যক্তিগত কক্ষ ,অবাধ নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট ব্যবস্থা, লেখাপড়ার জন্য উন্নত লাইব্রেরী। লাইব্রেরীতে সর্বোচ্চ পরিমাণ বইয়ের সংগ্রহশালা। আমরা বদ্ধপরিকর যে এই কাজগুলো আমরা করতে পিছপা হব না।
সর্বশেষ সরকারকে একজন শিক্ষককে জ্ঞানসমৃদ্ধ, কুশলী ও দক্ষ করে গড়ে তোলার জন্য শিক্ষকতা জীবনের প্রথম থেকেই প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কর্মের প্রয়োজনীয় সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। আমার সামনে বর্তমানে দিবালোকের মতো স্পষ্ট যে, আজ শিক্ষকের ন্যায্য অধিকার ও মর্যাদা বিশেষ করে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় এবং সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে চরমভাবে উপেক্ষিত। বিভিন্ন আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় আমরা শিক্ষকরা আজ ফুটবলের মত ঘুরছি। একটি দেশের পরিচালনার ভার যখন আমলানির্ভর হয়ে পড়ে তখন সে জাতি তার লক্ষ্য থেকে ধীরে ধীরে ধ্বংসের দিকে ধাবিত হতে থাকে। কারণ পড়ালেখা এবং রিসার্চ ছাড়া শুধুই প্রশাসনিক দায়িত্ব কখনোই নতুন রূপরেখা সৃষ্টি করে না। সে লক্ষ্যে সরকারের প্রয়োজন আমলাদের চেয়ে শিক্ষকদের মর্যাদা বিশেষভাবে বৃদ্ধিকরণ। তাদের চলাফেরার জন্য গাড়ির ব্যবস্থা করা ,তাদের সন্তানদের শিক্ষার জন্য সুষ্ঠু পরিবেশ ব্যবস্থাপনা করা এবং তাদের পরিবার পরিচালনার জন্য অর্থনৈতিক সুবিধাদি বৃদ্ধিকরণ। অনেক শিক্ষক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ মনে করেন গোটা শিক্ষা ব্যবস্থার প্রায় ৬০ ভাগই পরিচালনা করে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। মা একটি স্বাধীন দেশের জন্য অত্যন্ত লজ্জাজনক। আমি মনে করি সরকারি-বেসরকারি, আধা-সরকারি ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় এর মাঝখানে কোন ভেদাভেদ থাকা উচিত নয়। কারণ শিক্ষা কোন পণ্য নয় ,শিক্ষা সবার ন্যায্য অধিকার মৌলিক অধিকার।
আমি লক্ষ্য করছি বর্তমান আমাদের বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নিয়োগ পরীক্ষার ক্ষেত্রে অথবা তাদের আপগ্রেডেশনের ক্ষেত্রে দেখা যায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অভিজ্ঞতাকে ৫০ অথবা ৭৫ পার্সেন্ট গ্রহণ করা হয়।অথচ সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ক্ষেত্রে শতভাগ গ্রহণ করা হয় ।যেটি শিক্ষিত জাতির জন্য লজ্জাজনক কেননা শিক্ষাকে আমরা গণিতের সংখ্যায় আটকে দিতে চাই। অক্সফোর্ডের অভিজ্ঞতাকে কি উন্নত বিশ্বে যারা শিক্ষকতা করেন তাদের কি কোন পার্সেন্ট আকারে গণনা করা হয়! তাহলে আমার দেশের ক্ষেত্রে কেন এমনটি হবে?
আমি মনে করি সামগ্রিকভাবে শিক্ষকতা পেশা সামাজিক ও অর্থনৈতিক দিক থেকে মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার দাবী রাখলেও অবহেলা ও অবজ্ঞার ফলে শিক্ষকতা পেশায় ক্রমেই মেধাবীদের আকর্ষণ করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে। সে কারণে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ‘শিক্ষক সমিতি’ গঠন করে শিক্ষকদের ন্যায্য অধিকার যুক্ত নিয়োগ নীতিমালা তৈরির মাধ্যমে মেধাসম্পন্ন দক্ষ ও যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ দেয়া নিশ্চিতকরণ করতে হবে। কার্যত ভাবে আমি মনে করি শিক্ষক সমিতি আরও একটি বড় কাজ হলো সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বৈষম্য দূর করে যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আসা সম্মানিত শিক্ষকদের মর্যাদার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকা।
পরিশেষে, বিভিন্ন সময় পত্র-পত্রিকায় পরিলক্ষিত হয় যে, আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাপনায় নিয়োগ বাণিজ্য, ভর্তি বাণিজ্যসহ বিভিন্ন অনিয়ম। দেখুন একটি প্রতিষ্ঠান শিক্ষক সমিতি থাকলে খুব সহজেই কোন অসাধু ব্যক্তি তা করতে পারে না। অবশ্যই জবাবদিহিতার মাধ্যমে অন্যায় কে বন্ধ করার জন্য শিক্ষক সমিতির একটি বিশেষ ভূমিকা থাকে। সেজন্য সকল ক্ষেত্রে প্রয়োজন স্বশিক্ষিত ও সুশিক্ষিত ব্যক্তিদেরকে সমিতির হাল ধরা । শুধু বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে নয় স্কুল কলেজ পর্যায় বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্ত করা। কেননা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরাই কেবল তাদের নীতি ,ন্যায্যতা, সততা ,অভিজ্ঞতা ও যোগ্যতার বিচারে বিদ্যালয় সহ অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের নিয়োগ ও পদোন্নতি জন্য সুপারিশ করতে পারেন।
বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যোগ্য ও আদর্শ শিক্ষকরা এক চরম হতাশার মধ্যে দিন যাপন করছে। ফলে সৃজনশীল চিন্তার উন্মেষ ঘটার কোন অবকাশ তো নেই, বরং তাঁদের সাধারণ দায়িত্ব পালন করার স্পৃহাও দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে। এসমস্যার দায় আমি ব্যক্তিগতভাবে এড়িয়ে যেতে পারি না। এজন্য দরকার জ্ঞানভিত্তিক মানসিক শক্তি সমৃদ্ধ শিক্ষক সমিতির। আসুন আমরা শিক্ষক সমিতির নির্বাচনের মাধ্যমে শিক্ষকদের সমস্ত প্রকার স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে একসঙ্গে কাজ করার ব্যাপারে অঙ্গীকারাবদ্ধ হই। দেশ জাতি সমাজ বিনির্মাণে কিছুটা হলেও অবদান রাখতে পারি।
লেখক:সহকারী অধ্যাপক, ফার্মেসি বিভাগ, বশেমুরবিপ্রবি।
সাবেক সহ-সভাপতি, বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষক সমিতি।