বৃহস্পতিবার, ০৮ জুন ২০২৩, ০১:৪৫ অপরাহ্ন

বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা: আসন পূরণ গুরুত্বপূর্ণ নাকি শিক্ষার সুযোগ

  • আপডেট টাইম শনিবার, ২২ জানুয়ারী, ২০২২, ১০.২৩ পিএম
বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা: আসন পূরণ গুরুত্বপূর্ণ নাকি শিক্ষার সুযোগ

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় একটি দেশের উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। প্রতিবছর ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে এই উচ্চ শিক্ষা অর্জনের জন্য দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীরা নির্বাচিত হয়। হাজারো মেধাবী ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে না পেরে বঞ্চিত হয় দেশের প্রথম সারির উচ্চ শিক্ষা মাধ্যম এই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মেধাবী শিক্ষার্থী যুদ্ধ করে একটি আসনের জন্য। কেউ এই যুদ্ধে জয়ী হয় কেউবা হাজার চেষ্টার পরেও বঞ্চিত হয় একটি আসন থেকে।

অনেক বিশ্ববিদ্যালয় আবার আসন শূন্য রেখেই তাদের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে। বিশ্ববিদ্যালয় একটি জ্ঞান চর্চার জায়গা তাই আসন পূরণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের শিক্ষার সুযোগ করে দেওয়া উচিৎ। এ সম্পর্কে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থীর ভাবনা তুলে ধরেছেন ‘দ্য ক্যাম্পাস টুডে’র রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি রাকিব মাহমুদ

বুলবুল আদম শাহ
রবীন্দ্র অধ্যয়ন বিভাগ

ভর্তি পরীক্ষা হল একজন শিক্ষার্থীকে যাচাই-বাছাই করার প্রক্রিয়া। উচ্চশিক্ষার পর্যায়ে চতুর শিক্ষার্থীর প্রয়োজন। সেখানে সবাই চায় নিজেকে কাজে লাগাতে।অনেক সময় দেখা যায় আসন ফাঁকা থাকা সত্ত্বেও শিক্ষা কার্যক্রম চালু করে,যা ঐ বিশ্ববিদ্যালয় একজন শিক্ষার্থীর স্বপ্ন পূরণে ব্যর্থ হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের আসন সংখ্যার উপর নির্ভর করে যেহেতু শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হয়।সেহেতু আসন সংখ্যা পূরণ করে শিক্ষা কার্যক্রমকে বেগবান করতে হবে। “শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড’শিক্ষাই পারে গোষ্ঠী, জাতি, বিশ্ব নাগরিককে উচ্চাসনে বসাতে।শিক্ষাই পারে গোষ্ঠী বা জাতিকে দৃঢ় হাল ধরাতে। আবার’ জ্ঞানই আলো ‘ উক্তিটিকে যদি বিশ্লেষণ করি তাহলে দেখা যাবে অন্ধকে আলো দেখানো বা পথভোলাকে পথ দেখানো।সেই পথ দেখানো যদি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু হয় তাহলে তো কোন কথাই নাই।বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্ব নাগরিক কেন্দ্র। সেই কেন্দ্রে যেতে পথটাকে সহজ ও উপযুক্ত করতে হবে। তাই আমি মনে করি যেহেতু একজন শিক্ষার্থী কয়েকটা ধাপ পেরিয়ে সফলতার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেই তাই তাকে সুযোগ করে দিয়ে আসন পূরণ করে শিক্ষার সুযোগ দেওয়া উচিৎ।

শান্তনা রাণী দাশ
সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যয়ন বিভাগ

বিশ্ববিদ্যালয় হলো শিক্ষার্থীদের জন্য মুক্ত চিন্তার অঙ্গন। দীর্ঘ বারো বছর শিক্ষা জীবন অতিবাহিত করার পর উচ্চশিক্ষার উদ্দেশ্যে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়।যে শিক্ষার্থী যে বিষয়ে আগ্রহী ও পারদর্শী সেই বিষয় নিয়েই উচ্চ শিক্ষা লাভের ইচ্ছা প্রকাশ করে,কিন্তু প্রথমবার ভর্তি পরীক্ষায় হয়তো শিক্ষার্থীর আগ্রহের বিষয়টা পায় না, সেক্ষেত্রে তাকে যদি ঐ বিষয় নিয়েই ভবিষ্যতে শিক্ষাজীবন শেষ করে কর্ম জীবনে প্রবেশ করতে হয় তাহলে তার জ্ঞানের সম্পূর্ণ আত্মপ্রকাশ আর সম্ভব হয় না।কর্মজীবনে দক্ষতা প্রকাশে বড় একটা অন্তরায় সৃষ্টি হয়।তাই যে শিক্ষার্থী যে বিষয়ে আগ্রহী তাকে সেই বিষয় নিয়ে শিক্ষা অর্জনের জন্য ভর্তি পরীক্ষায় দ্বিতীয় সুযোগের প্রয়োজন অপরিহার্য। ২০১৫-২০১৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয়বার ভর্তির সুযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও একই সিদ্ধান্ত নেয়।আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও একই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে।সাধারণ গুচ্ছেও এমন সিদ্ধান্তের সম্ভাবনা রয়েছে। অভিযোগ করা হয় যে একাধিক বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ দেওয়ার কারণে একদিকে যেমন সরকারের অর্থের অপচয় হয় তেমনি প্রতিবছরই কিছু সংখ্যক আসন ফাঁকা থাকে। কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে যদি কিছু সংখ্যক আসন ফাঁকা থাকে তাহলে সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের তেমন কোন ক্ষতি হবে না কিন্তু একজন শিক্ষার্থী যদি কেবল একটা সুযোগের অভাবে তার আগ্রহের বিষয় নিয়ে উচ্চশিক্ষা লাভ করতে সক্ষম হবে না,সেক্ষেত্রে অপছন্দের বিষয় নিয়ে ভবিষ্যতে দেশ ও জাতির জন্য খুব বেশি কল্যাণ সাধন করতে পারবে না। সুতরাং বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা: আসন পূরণ গুরুত্বপূর্ণ নয় বরং শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষার সুযোগ দেওয়া উচিত। আন্তর্জাতিক শিক্ষাঙ্গনে এই বিষয়টা উন্মুক্ত। আমরা হয়তো ততটা উন্মুক্ত হতে পারবো না কিন্তু চাইলেই দ্বিতীয় বার সুযোগ দেওয়া যেতে পারে। দ্বিতীয় বার ভর্তি পরীক্ষায় সুযোগ পাওয়া প্রতিটি শিক্ষার্থীর অধিকার বলে আমি মনে করি।

সাব্বির হোসাইন
ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় যেমন আসনসংখ্যা পূরণের একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে ঠিক তেমনি প্রতিটি শিক্ষার্থীকে শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ টাও গুরুত্বপূর্ণ সাধারণত আমরা দেখতে পাই যে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে খুব সীমিত কিছু আসন নিয়ে শিক্ষার্থীরা পড়ার সুযোগ পায় তার মানে খুব সীমিত কিছু শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পেয়ে থাকে যার জন্য আমাদের অনেক শিক্ষার্থীরাই উচ্চশিক্ষার বিষয়টা থেকে বঞ্চিত আমাদের উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে সীমিত কিছু আসন সংখ্যা থাকার কারণে সকল পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা শিক্ষার সুযোগ পায় না তাদের এই সুযোগটা হয়ে ওঠেনি তাই আমাদের উচিত এই শিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধি করা যেন সকল পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা উচ্চ শিক্ষার বিষয়টি নজর দিতে পারে এবং তারা উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারে যে জাতি উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত তাদের অর্থনৈতিক সামাজিক অগ্রগতি ও ততোটাই উন্নত। একজন অসুস্থ ব্যক্তি হাসপাতাল হতে চিকিৎসা গ্রহণের মাধ্যমে যেমন সুস্থ হতে পারে ঠিক তেমনি একজন ব্যক্তি উচ্চশিক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে শিক্ষিত হতে পারে। ঠিক তেমনি বলা যায় যদি আমাদের দেশে হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থা বৃদ্ধি করা হয় সেক্ষেত্রে যেমন আমাদের অসুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা হ্রাস পাবে ঠিক তেমনই শিক্ষার ব্যবস্থা টা যদি আরো বৃদ্ধি করা হয় সেক্ষেত্রে আমাদের দেশের জনগণ আমাদের দেশের শিক্ষার্থীরা উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পাবে।

সেতু দাশ
সংগীত বিভাগ

বিশ্ববিদ্যালয় হলো মেধাবিকাশ, উন্মুক্ত চিন্তা-চেতনার উন্মেষ, বুদ্ধিভিত্তিক চর্চা প্রয়োগের শ্রেষ্ঠ কেন্দ্র। পাঠ্যপুস্তকভিত্তিক শিক্ষা ও কেবল সনদ প্রদান বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল উদ্দেশ্য নয় বরং নতুন নতুন জ্ঞান সৃষ্টি, গবেষণা ও সৃজনশীল কর্মকাণ্ডে যাতে শিক্ষার্থীরা সম্পৃক্ত হতে পারে তার দ্বার উন্মোচন করাই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৃত লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) ২০১৭ সালের প্রতিবেদন অনুসারে দেশের সব পাবলিক, প্রকৌশল, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও কারিগরিসহ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য আসন রয়েছে ২১ লাখ ২০ হাজার ৯২৫। তবে পাবলিক, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজ মিলিয়ে মোট আসন ৬৪ হাজার। মূলত এই ৬৪ হাজার আসনে হয় ভর্তিযুদ্ধ। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি প্রক্রিয়ায় আমাদের দেশে প্রতি বছর ১০ লক্ষাধিক শিক্ষার্থী পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়ে আসনের জন্য লড়াই করে। এই আসন প্রতিটি শিক্ষার্থীর জীবনে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে কারণ এই আসনকে কেন্দ্র করেই তার আগামীর পথ নির্ধারিত হয়। শুধুমাত্র সার্টিফিকেট অর্জন করা মেধা এবং প্রকৃত জ্ঞানচর্চার মধ্যে যে আসলেই বড় পার্থক্য রয়েছে, তার প্রমাণ আমরা দেশে এবং পৃথিবীর সর্বত্রই দেখতে পাই। যারা জীবনে সুপ্রতিষ্ঠিত তাদের অনেকেরই একাডেমিক রেকর্ড খুব উজ্জ্বল থাকে না। আবার স্নাতক-স্নাতকোত্তর শেষ করে যখন ৬১ শতাংশ শিক্ষার্থী (প্রথম আলো, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২১) বেকার থাকছে, তখন শিক্ষার মান অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাড়ায়। একটি প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার মান নির্ভর করে সেই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, সুযোগ, পরিবেশ এবং প্রশাসনিক তৎপরতার উপর। তবে এক্ষেত্রে শিক্ষক সবচেয়ে মুখ্য ভূমিকা পালন করেন। বর্তমানে শিক্ষার্থীরা মান কেন্দ্রিক শিক্ষার থেকে আসন কেন্দ্রিক শিক্ষায় বেশি আগ্রহী হয়ে উঠছে। যার ফলে অনেক প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থী পাচ্ছে না আবার অনেক প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের আসন দিতে পারছে না। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় আসন পেলে একজন শিক্ষার্থী অবশ্যই শিক্ষার সুযোগ পায়, কিন্তু এখানেই কাজ শেষ হয়ে যায় না। শিক্ষার্থীদের সে সুযোগের সদ্ব্যবহার করা উচিত। তবে শুধুমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন পাওয়ার আনন্দে বা নির্দিষ্ট কোনো ধরণের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার ইচ্ছে ছিল বলে যে কোনো মানের শিক্ষাঙ্গনেই সে পড়তে যাবে- এমনটা উচিত নয়। সচেতন শিক্ষার্থী হিসেবে উচিত কাজ হল বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন পূরণের চেয়ে শিক্ষার মানের দিকে বেশি মনযোগী হওয়া । নামের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার কেমন সুযোগ পাচ্ছি তা বেশি গুরুত্ববহ। কারণ বিশ্ববিদ্যালয় হতে স্নাতক, স্নাতকোত্তর শেষ করার পর অর্জিত শিক্ষাই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান নির্দেশ করে। নিজের শিক্ষার মান যদি খারাপ হয় তখন নামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আসন প্রকৃত অর্থে কাজে আসে না। একজন শিক্ষার্থীকে আধুনিক ও দক্ষ শিক্ষিত মানুষ হিসেবে গড়তে শিক্ষককে শ্রেণিকক্ষে যেমন সময় দিতে হবে, তেমনি গবেষণায় এগিয়ে নিতে হবে। গৎবাঁধা মুখস্থ পড়া এবং বিসিএসের দিকে আগ্রহী না করে বর্তমান বিশ্বের চাহিদা অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের তৈরি করা উচিত। সিলেবাসের আধুনিকীকরণ না হলে শিক্ষার মান যে বাড়ে না, তা আমাদের শিক্ষকদের ভাবতে হবে। অগ্রসরমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিত্যনতুন তথ্যসমৃদ্ধ শ্রেণিপাঠ যেমন জরুরি, তেমনি ক্লাসে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন ব্যবস্থারও সংস্কার প্রয়োজন। শিক্ষার্থীদের বিষয়ভিত্তিক মানবসম্পদ হিসেবে গড়তে পারলেই শিক্ষার মানোন্নয়ন হবে। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ে আসনের থেকে শিক্ষার মানের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে জীবনের লক্ষ্যে একনিষ্ঠভাবে এগিয়ে যেতে হবে। তবেই প্রকৃত শিক্ষা অর্জন সম্ভব হবে।

সৌহার্দ্য আনাম
অর্থনীতি বিভাগ

বিশ্ববিদ্যালয়ের আসল উদ্দেশ্য অবশ্যই শিক্ষার অবশ্যই শিক্ষার সুযোগ তৈরি করে দেয়া। শুধু তাই নয় এই সুযোগের পাশাপাশি শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ ও তৈরি করা।কেননা একজন শিক্ষার্থী যখন উচ্চ শিক্ষার জন্য যে ক্ষেত্রটা বেছে নেয় তা হলো বিশ্ববিদ্যালয়। তাই এমন জীবন ধারণের পাথেয় হওয়া উচিত যা শুধু পুঁথিগত শিক্ষা নয় সর্বোপরি শিক্ষা যা পরবর্তীতে একজন মানুষকে বিবেকবান মানুষ হিসেবে গড়ে তোলে এবং মানুষকেও সঠিক পথ দেখাতে পারে। তাই মনে করি বিশ্ববিদ্যালয়ের আসল উদ্দেশ্য হল শিক্ষার সুযোগ তৈরি করে আদর্শ ও মননশীল মানুষ তৈরি করে দেশকে সমৃদ্ধ করা।এখন আসন পূরণের যে বিষয়টির কথা বলা হচ্ছে, সেটা হল আমাদের মতোএই জনবহুল এবং উন্নতশীল দেশগুলোতে আমরা ইচ্ছে করলেও সকলের ইচ্ছে পূরণ করতে পারি না। তাই সব ঘাটতি থেকেই যায়। এজন্য এতো শিক্ষার্থীর জন্য আমরা সঠিক শিক্ষার ব্যবস্থা করতে পারি না বলেই এই ভর্তি পরীক্ষার মতো কঠিন যুদ্ধে নামতে হয় সবাইকে।তাই আমি মনে করি আসন পূরণ এই ভর্তি পরীক্ষার আসল উদ্দেশ্য নয়। এর আসল উদ্দেশ্য শিক্ষার সুযোগ তৈরি করা কিন্তু আসনের থেকে কয়েক গুন বেশি শিক্ষার্থী থাকার কারণেই এই কঠিন সংকট আমাদের সবকিছুকে ভাবায় আবার নানা কারণে প্রশ্নবিদ্ধ করে।

The Campus Today YouTube Channel

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
themesbazar_creativenews_II7
All rights reserved © 2019-20 The Campus Today