বেঁচে থাকলে আজ বঙ্গবন্ধুর বয়স হতো ১০০ বছর

টুডে ডেস্ক Avatar

ক্যাটাগরি : , ,

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


দ্য ক্যাম্পাস টুডের পক্ষ থেকে জানাই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও মুজিববর্ষের শুভেচ্ছা। মুজিব মানেই বাংলাদেশ, শুধু বাংলাদেশ না স্বাধীন বাংলাদেশ। মুজিববর্ষের প্রত্যাশা নিয়ে দ্য ক্যাম্পাস টুডেকে মতামত জানিয়েছেন বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আসুন জেনে নেওয়া যাক তাদের ভাবনা।



মুজিববর্ষে আমার প্রত্যাশা


সকল অপূর্ণতা, অপ্রাপ্তি, গ্লানি, সম্ভাবনার দুয়ার খুলতে না পারার অক্ষমতা ও বেদনা, পথ চলতে পথ হারানোর স্মৃতি ভুলে গিয়ে আগামীর প্রত্যাশা নিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর এই বছরটিকে ‘মুজিব বর্ষ’ রূপে উদযাপন করছে জাতি।

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী তথা ‘মুজিববর্ষ’ উদযাপনের পাশপাশি বঙ্গবন্ধুর উপর্যুক্ত সোনালী আদর্শগুলো অনুসরণ, অনুকরণ পূর্বক বাস্তবায়িত হোক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলার, সোনার মানুষের কৃত-কর্মে, ধ্যানে-প্রাণে, সমাজ-রাষ্ট্রে। মুজিব বর্ষে এই হোক আমাদের প্রত্যয় ও প্রত্যাশা।

বঙ্গবন্ধু বাংলা এবং বাঙ্গালীর একান্ত আপনজন। তিনি সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা ও সোনার মানুষ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। সাত কোটি বাঙালীর মানুষ হতে না পারার কবিগুরুর আক্ষেপ মিথ্যা প্রমাণ করে তিনি বাঙালীকে মানুষ করতে পেরেছিলেন এবং দেশকে স্বাধীন করে দিয়ে গেছেন। হাজার বছরের পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ, অন্যের দ্বারা শাসিত-শোষিত বাঙালীকে প্রথমবারের মতো স্বাধীনতা, স্বশাসন ও শোষণমুক্তি তথা নিজের ভাগ্য নিজে গড়ার অধিকার আদায় করে দিয়ে গেছেন।

‘মুজিব বর্ষে’ আমাদের প্রত্যাশা বিগত বছর গুলোর পুঞ্জীভূত সকল অপূর্ণতা, ব্যর্থতা ও গ্লানি মুছে ফেলে অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথকে অনুসরণ করে চলমান অগ্রযাত্রার ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে।

জাতির জনকের জন্মশতবার্ষিকীতে হাজারো প্রাপ্তির মাঝে প্রত্যাশারও কমতি নেই। এদেশের উন্নয়নের অন্যতম প্রতিবন্ধকতা দুর্নীতি। দুর্নীতিবাজ কাউকে কোনো পদ-পদবির আসনে জনগণ দেখতে চায় না। স্বচ্ছ, ভদ্র ও শিক্ষিত মানুষকে রাষ্ট্রের জনগনের সেবক হিসেবে অধিষ্ঠিত করতে হবে। সন্ত্রাস, মাদক, জঙ্গিবাদ নির্মূলের অভিযান অব্যাহত রাখতে হবে। সমাজ দুর্নীতি ও দুর্বৃত্তায়ন মুক্ত হবে। মর্তৃভাষা চর্চার দিকে মনোনিবেশ করা এবং এজন্য শিক্ষানীতিতে যথাযথ পরিবর্তন সাধন করা। ‘মুজিব বর্ষ’ সফল ও সার্থক করতে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের বিকল্প নেই। তবেই এই বাংলা প্রকৃত অর্থে বাঙালির হবে।


মোঃ আরাফাত হোসেন, শিক্ষার্থী, সরকারি তিতুমীর কলেজ



বঙ্গবন্ধু জন্মেছিল বলেই জন্মেছে বাংলাদেশ


একজন বঙ্গবন্ধু জন্ম হওয়ায় জন্ম নিয়েছে সুজলা- সুফলা একটি বাংলাদেশ। তরুণ প্রজন্মের কাছে একটি আদর্শের নাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি যেন তরুণদের সকল প্রেরণার উৎস।

এ দেশকে সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তোলার যে স্বপ্ন তিনি দেখেছিলেন, সে স্বপ্নের পথেই এ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে তাঁরই সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর বঙ্গবন্ধু ছিলেন অধিকার আদায়ের মহানায়ক। মহান নেতা ১৯৪৭ সালে ভাষা আন্দোলনের সূচনা পর্বে, ১৯৪৮ সালে রাজপথে আন্দোলন ও কারাবরণ, পরে আইনসভার সদস্য হিসেবে রাষ্ট্রভাষার সংগ্রাম ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় অতুলনীয় ভূমিকা রাখেন।

বঙ্গবন্ধু কেমন নেতা ছিলেন এটি জানার জন্য ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণটি যথেষ্ট। বঙ্গবন্ধু কোনো দল, জাতি, গোষ্ঠী কে নির্দিষ্ট করে স্বাধীনতা সংগ্রাম করেননি। তিনি একটি দেশ স্বাধীন করতে চেয়েছিলেন। তাই তিনি কোন নির্দিষ্ট দলের নন তিনি সমগ্র বাঙালি জাতির মহানায়ক।

বর্তমানে মানুষ বঙ্গবন্ধুর নাম মুখে নিয়ে ব্যস্ত তার সত্যিকারের আদর্শকে বুকে ধারন করেনা। আজকে সবাই পদবীর লোভে বঙ্গবন্ধুর নাম ব্যবহার করে চলছে। আমাদের উচিত প্রতিটি ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে সত্যিকারভাবে ধারন করে সামনে এগিয়ে চলা।


মাইনুদ্দিন পাঠান, শিক্ষার্থী, ফিসারিজ এন্ড মেরিন সায়েন্স বিভাগ, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।



সবাইকে মুজিববর্ষের শুভেচ্ছা


প্রথমে সবাইকে মুজিব বর্ষের শুভেচ্ছা। মুজিব বর্ষ হলো আমাদের জন্য একটি গর্বের বছর।কারন ১৯২০ সালের ১৭ ই মার্চ জন্মগ্রহণ করেছিলেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান।তার একশত তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এই বছরটাকে মুজিব বর্ষ ঘোষণা করা হয়েছে।

এই বছরটা আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের একটি বছর।কারন এই বছরেই জন্মগ্রহণ করেছিলেন বাঙ্গালী জাতির স্বাধীনতার ঘোষক, যিনি জন্মগ্রহণ না করলে এই বাংলাদেশ দেখতে পেতাম না। যিনি জন্মগ্রহণ না করলে বাঙ্গালীরা তার অধিকার ফিরে পেতনা,যিনি কখনো নিজের কথা ভাবেন নি।যিনি সবসময় ভেবেছেন গরীব দুঃখী ও বঞ্চিত মানুষের কথা,যিনি গরীব দুঃখী মানুষের অধিকার আদায় করতে গিয়ে বার বার কারাবরণ ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তিনি আর কেও নন তিনি হলেন আমাদের জাতির পিতা,এরকম ত্যাগী নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

ধৈর্যশীল এক নেতাকে আমরা জাতির পিতা হিসেবে পেয়ে আমরা গর্বিত,তার এই জন্মদিনে আমরা একটা কথাই বলতে পারি তার আদর্শকে বুকে ধারন করে তার স্বপ্নের সোনার বাংলাকে বাস্তবায়ন করার জন্য প্রতিটি মানুষকে একত্রীত হয়ে কাজ করতে হবে। যেমনটা হয়েছিলো মুক্তিযেদ্ধের সময়।

৭ই মার্চের ভাষণের পর সবাই ঐক্যবদ্ধ ভাবে যুদ্ধ করে এ দেশ স্বাধীন করেছিলো।তার এই জন্মশতবার্ষিকীতে তাকে স্বরণ করছি গভীর শ্রদ্ধা এবং ভালবাসার মাধ্যমে।সর্বশেষ একটি কথায় বলতে চাই তার আদর্শে আদর্শিত হতে পারলেই নিজেকে গর্বিত মনে করবো এবং তার আত্মা শান্তি পাবে। আল্লাহ তাকে জান্নাত দান করুক আমিন।


ওয়াশিম আকরাম, শিক্ষার্থী, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।



সংবাদটি শেয়ার করুন
fb-share-icon
Tweet