ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক
গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) নিয়োগসংক্রান্ত জটিলতায় দৈনিক মজুরি ভিত্তিক প্রায় ১৭৬ জন কর্মচারীর প্রায় সাত মাস যাবৎ বেতন বন্ধ রয়েছে ।
দেশে করোনা ভাইরাস হানা দেওয়ার আগে তারাঁ ছোটো-খাটো ব্যবসা বাণিজ্য আর ধার দেনা করে দিন কাটালেও বর্তমানে তাদের জীবনে নামিয়ে এনেছে ভয়াবহ দুঃসময়।
কর্মচারীদের এই দূরাবস্থার খবর পেয়ে সহযোগিতা হিসেবে খাদ্যসামগ্রী প্রদান করার ঘোষণা দিয়েছেন গোপালগঞ্জ-২ আসনের সাংসদ শেখ ফজলুল করিম সেলিমের কনিষ্ঠ পুত্র এবং যুবলীগ নেতা ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাঈম।
এ দিকে খাদ্যসামগ্রী পাওয়ার ঘোষণায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন দৈনিক মজুরি ভিত্তিক কর্মচারীরা।
আজ মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের চার ছাত্র নেতা জাহাঙ্গীর আলম, শেখ তারেক, বাবুল সিকদার বাবু এবং ফাহাদ সার্জিলের তত্ত্বাবধানে খাদ্যসামগ্রী দৈনিক মজুরি ভিত্তিক কর্মচারীদের নিকট পৌঁছে দেয়া হবে বলে জানা গেছে।
কর্মচারীদের নিকট খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেয়ার ব্যাপারে চার ছাত্র নেতা জানান, দুঃসময়েই মানুষের প্রকৃত মানবিকতা প্রকাশ পায়। শুরু থেকেই অভিভাবক হিসেবে ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাঈম ভাইকে আমরা পেয়েছি। তিনি সব সময়ই বিপদগ্রস্ত মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছেন আর তারই ধারাবাহিকতায় করোনাকালে দুঃসময়ে ১৭৬ জন কর্মচারীকে সহযোগিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন। মহামারী একসময় শেষ হবে কিন্তু নাঈম ভাইয়ের এই সহযোগিতার কথা আমরা মনে রাখবো এবং তার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে আমরাও অন্যকে সহযোগিতা করার চেষ্টা করবো।”
দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে কর্মরত মাধব দাস বলেন, “সামাজিক লজ্জার কারণে দূরাবস্থার মাঝেও কারো নিকট কোনো সহযোগিতা চাইতে পারছিলাম না। আমাদের অবস্থা উপলব্ধি করে আমাদেরকে সহযোগীতা করায় শেখ নাঈমের নিকট আমরা কৃতজ্ঞ।”
উল্লেখ্য, এর আগে দুঃসময়ে শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা করেছেন যুবলীগ নেতা শেখ নাঈম। করোনা যতদিন থাকবে ততদিনই গোপালগঞ্জের অসহায় ও দরিদ্র মানুষদের প্রতি তাঁর সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলেও ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।