বেরোবির পাঁচ শিক্ষককে সতর্ক করলো প্রশাসন

বেরোবির পাঁচ শিক্ষককে সতর্ক করলো প্রশাসন

 

বেরোবি প্রতিনিধি

রংপুরের  বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষকের বিরুদ্ধে অসাদাচরণের অভিযোগে কঠোর সতর্কবার্তা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৬তম সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবু হেনা মোস্তফা কামাল স্বাক্ষরিত পৃথক অফিস আদেশে সতর্কবার্তা দেয়া হয়েছে।

পাঁচ শিক্ষক হলেন—রসায়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তরিকুল ইসলাম ও সহযোগী অধ্যাপক ড. বিজন মোহন চাকী, গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মশিয়ার রহমান, লোক প্রশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আসাদুজ্জামান মন্ডল, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক মাহামুদুল হক।

অফিস আদেশে বলা হয়েছে, বিভাগের শিক্ষা কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটানোর অপপ্রয়াস, বিভাগীয় প্রধানের অর্পিত দায়িত্ব ক্রমশই বাধা প্রদানের অভিযোগ উঠেছে রসায়ন বিভাগের শিক্ষক তরিকুল ইসলাম ও ড. বিজন মোহন চাকীর বিরুদ্ধে। মশিয়ার রহমানের বিরুদ্ধে নীলফামারীর সৈয়দপুরে অনুমোদনবিহীন বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের সম্পৃক্ততা, আপত্তিকর ভাষা ব্যবহার, প্রশাসনকে কটাক্ষের অভিযোগ এনে ভবিষ্যতে এ ধরণের কর্মকান্ডের জন্য কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও এ অফিস আদেশে বলা হয়েছে। আসাদুজ্জামান মন্ডলের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটানো ও ছাত্রদের উত্তেজিত করার প্রয়াসের অভিযোগ এনে এমন সঙ্গতিহীন কার্যক্রমে থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। মাহামুদুল হকের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটানো ও ছাত্রদের উত্তেজিত করার প্রয়াসে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ও সিন্ডিকেট সম্পর্কে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিদ্বেষমূলক, আক্রমণাত্মক ও অবমাননাকর কথা প্রচারের অভিযোগ উঠেছে এ অফিস আদেশে।

এ বিষয়ে আসাদুজ্জামান মন্ডল বলেন, আসলে এটা আমার বোধগম্য নয় কেন তারা এ ধরনের চিঠি দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রসাশনের কাছে জানতে চাইবো কেন এ ধরণের চিঠি দেয়া হয়েছে?

গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক মাহামুদুল হক বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোনো আইনবিরোধী বক্তব্য দেইনি। পতাকা অবমাননার মামলার তদন্তে কোনো গাফিলতি রয়েছে কিনা তার প্রতিকার চাইতে বলেছি। আমি পতাকা অবমাননা মামলার প্রধান বাদী হয়ে উপাচার্য ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহকে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে প্রধান অভিযুক্ত করেছি। মামলাটি হাইকোর্টে নিয়ে যাব এজন্য আমার ওপর চাপ প্রয়োগ করতে নোটিশ দিয়ে প্রশাসনিক হুমকি প্রদান করা হয়েছে।

রসায়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. বিজন মোহন চাকী বলেন, সিন্ডিকেট সদস্যরা হলেন একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ পর্যায়ের নীতিনির্ধারক। তারা রসায়ন বিভাগের অবৈধ বিভাগীয় প্রধানের একতরফা অভিযোগের ভিত্তিতেই এইরকম নোটিশের মতো দ্বায়িত্বহীন কোনো সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারেন না। প্রশাসনের এই অসংলগ্ন সতর্কতা ও নারী নির্যাতনের মতো স্পর্শকাতর বিষয়ে আগাম হুমকি প্রদান বলে জানান তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *