রবিবার, ১১ জুন ২০২৩, ০৪:২৯ পূর্বাহ্ন

বেরোবির সাবেক শিক্ষার্থী মাহমুদুন্নবী বাঁচতে চায়

  • আপডেট টাইম বুধবার, ১০ আগস্ট, ২০২২, ১০.৩০ এএম

বেরোবি প্রতিনিধিঃ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী (১ম ব্যাচ) মাহমুদুন্নবী মাহমুদ বাঁচতে চায়। পরীক্ষায় ধরা পরেছে ব্লাড ক্যান্সার। ডাক্তার জানিয়েছে রোগটি এখনো ১ম স্টেজে রয়েছে। উন্নত চিকিৎসায় আরোগ্য হওয়া সম্ভব। এতে প্রয়োজন প্রায় ২০ লাখ টাকা। তার অসচ্ছল পরিবারের পক্ষে ব্যয় বহন করা অসম্ভব। এ অবস্থায় সমাজের বিত্তবানদের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছে পরিবারের সদস্যরা।

মাহমুদুন্নবী এর বাড়ি রংপুর জেলার বদরগঞ্জ উপজেলা সদরের ১ নং ওয়ার্ডে। তার পিতা সাইফুল ইসলাম এর একটি ছোট্ট অটো রিক্সা গ্যারেজ রয়েছে। মাহমুদুন্নবীরা দুই ভাই এক বোন। বড় ভাই এসকেএস ফাউন্ডেশনে কাজ কাজ করেন। বোনের বিয়ে হয়ে গেছে। মাহমুদুন্নবী রংপুর শহরের বীকন মোড়ে একটি সফটওয়ার ফার্ম দিয়ে সবে মাত্র আয় করতে শুরু করেছেন। এর মধ্যেই দুরারোগ্যব্যধিতে আক্রান্ত হন।

মাহমুদুন্নবী জানায়, গত জুন মাসের শুরুতে হঠাৎ চোখ ফুলে গেলে রংপুরে স্থানীয় দীপ আই কেয়ার এর ডাক্তারের পরামর্শে পরীক্ষা করাই। এতে কোন সমস্যা ধরা না পরায় তারা একটি চোখের ড্রোপ দেয়। ঐ মাসের ২০ তারিখে হঠাৎ বুকে ব্যাথা দেখা দেয়। এরপর আস্তে আস্তে পিঠ সহ অন্যান্য জায়গায় ছড়িয়ে পরলে আমি ব্যাথা সহ্য করতে না পেরে ২৫ শে জুন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে ভর্তি হই। ডাক্তাররা বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরিক্ষার বুঝতে পারে রক্তে ইনফেকশন হয়েছে। এরপর রংপুর মেডিকেল কলেজের হেমাটোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. কামরুজ্জামান ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে। ঢাকা মেডিকেল কলেজের হেমাটোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. অখিল রঞ্জন বিশ্বাস বিভিন্ন পরীক্ষা করে নিশ্চিত করেছে ব্লাড ক্যান্সার হয়েছে।

মাহমুদুন্নবী এর বড় ভাই মুহাইমিনুল ইসলাম বলেন ছোট ভাইয়ের হঠাৎ এ ধরনের অসুখের কথা শুনে অবাক হয়েছি ও কষ্ট পেয়েছি। আমরা বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরিক্ষা করে উন্নত চিকিৎসার জন্য মাহমুদ কে ভারতে নেয়ার চেষ্টা করছি। ডাক্তার জানিয়েছে চিকিৎসা ব্যয় হবে ২০ লাখ টাকারও বেশি। কিন্তু আমাদের মতো পরিবারের পক্ষে অতগুলো টাকার ব্যবস্থা করা অসম্ভব। ইতোমধ্যে দের মাসে খরচ হয়েছে দের লাখ টাকারও বেশি এবং আত্মীয় ও ব্যাংক থেকে ৫ লাখ টাকা ধার দেনা করা হয়েছে। জানিনা বাকি টাকা কিভাবে ব্যাবস্থা হবে। আমাদের এ পরিস্থতিতে সমাজের বিত্তবানরা যদি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিত তাহলে দ্রুত মাহমুদ কে উন্নত চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হতো।

মাহমুদুন্নবী এর বাবা সাইফুল ইসলাম বলেন, ছেলেটার বড় অসুখ হয়েছে। অনেক টাকার দরকার। তোমরা পারলে তার জন্য কিছু করো।

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান ড.মিজানুর রহমান বলেন মাহমুদুন্নবীর অসুস্থ হওয়ার বিষয়টি শুনেছি। সে আমাদের বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী। আমরা বিভাগীয় ভাবে কিছুটা সহায়তা করবো। কিন্তু তার চিকিৎসায় মোটা অংকের টাকা প্রয়োজন। আমরা সকলেই নিজের জায়গা থেকে সহযোগিতার হাত বাড়াই তাহলে সহজেই তার চিকিৎসা সম্ভব।

The Campus Today YouTube Channel

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
themesbazar_creativenews_II7
All rights reserved © 2019-20 The Campus Today