চৌধুরী মাসাবি: ‘ভর্তুকির জন্য আমাদের কোন ফান্ড নেই। বিশ্ববিদ্যালয় একটা সরকারি প্রতিষ্ঠান। সরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রত্যেকটা জিনিসে বাজেট হয়। ভর্তুকির ব্যাপারে সরকার থেকে কোন বাজেট না হলে তো আমাদের আর কিছু করার নাই। তবুও আবাসিক হলগুলোতে ভর্তুকির ব্যবস্থা করার জন্য আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি।’ এমনটি জানাচ্ছিলেন কুবির আবাসিক হলের ভর্তুকি বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী।
দেশের ২৬তম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ১৫ বছর পার হলেও এখনো কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) হলগুলোতে নেই খাবারের ভর্তুকি। পাশাপাশি করোনার প্রভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র ক্যাফেটারিয়া বন্ধ থাকায় করোনা পরবর্তী পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও এখনও খোলা হয়নি।
যার ফলে আর্থিক ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে সাধারণ শিক্ষার্থীদের। তাদের অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কোন বরাদ্দ না থাকায় হলগুলোতে ভালো খাবার পরিবেশন করা হয় না। আবার ব্যাক্তিগত খরচে খাবার খেতে চাইলে সেখানেও আর্থিক স্বসচ্ছলতার অভাব রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনটি ছাত্র হল এবং একটি ছাত্রী হলসহ মোট চারটি হল রয়েছে। যেখানে ১ হাজারেরও অধিক আবাসিক শিক্ষার্থী অবস্থান করেন। প্রশাসনের কোন ভর্তুকি না থাকায় খাবারের জন্য তাদেরকে বেলাপ্রতি ৩৫ টাকা গুনতে হয়। এর মাধ্যমে দু’বেলা খাবার পাওয়া গেলেও সকালের নাস্তা নিজের খরচে খেতে হয়। আবাসিক হলের অধিকাংশ শিক্ষার্থী মধ্যবিত্ত ও নিন্ম মধ্যবিত্ত হওয়ায় খাবারের পেছনে এতো টাকা ব্যয় করতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন তারা।
আরও পড়ুনঃ নোবিপ্রবিতে এক বিভাগের দায়িত্বে দুই চেয়ারম্যান
বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হলের শিক্ষার্থী নুর উদ্দিন হোসাইন বলেন, প্রতিবেলায় খাবারের জন্য ৩৫ টাকা সবার পক্ষে বহন করা সম্ভব হয় না। যার ফলে অনেক শিক্ষার্থী খাবারের খরচ চালাতে পারে না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উচিত সবার কথা বিবেচনা করে হলগুলোতে খাবারের ভর্তুকি দেওয়ার ব্যবস্থা করা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন, এটা আমার দেখার বিষয় না। এটাতো বিশ্ববিদ্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ দেখবে। এটা অনুমোদন আসলে আমরা বিবেচনায় নিতে পারবো। আমি জয়েন করার পর মাত্র হল খুলছে। সেইক্ষেত্রে আমি আবাসিক হলের ডাইনিং চালানোর প্রক্রিয়া জানি না। কতৃপক্ষ আমাদের জানালে আমরা বিস্তারিত ব্যবস্থা নিব।