বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি : শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজের কতিপয় শিক্ষার্থী কর্তৃক গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় বিচার নিশ্চিত করাসহ জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়টির সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
আজ দুপুর ১.০০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকের সামনে প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী জহুরুল ইসলাম সৈকত বলেন, “ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা প্রথমে আমাদের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে, যা থেকে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয় কিন্তু পরবর্তীতে মেডিকেল কলেজ প্রশাসন নিজেদের স্বার্থোদ্ধারে মিথ্যাচারের মাধ্যমে এই ঘটনাকে ভিন্ন খাতে নিতে চেষ্টা করে এবং ইভটিজিং এর অভিযোগ তোলে। এমনকি আমাদের শিক্ষকরা সমঝোতা করতে গেলে তাদের সাথেও অসদাচরণ করে। আমরা তাদের এমন মিথ্যাচার ও এধরনের আচরণের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”
এই শিক্ষার্থী আরও বলেন, “হামলায় আমাদের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছে। এমনকি সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের এক শিক্ষার্থীর ওপর মেসে গিয়েও হামলা করা হয়েছে। ওই শিক্ষার্থী মাথায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন। আমরা এই ঘটনাসহ ওইদিনের সম্পূর্ণ ঘটনার তদন্তমূলক বিচার চাই।”
ইএসডি বিভাগের শিক্ষার্থী ইফতিয়াক আহমেদ অন্তর বলেন, শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষসহ শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা পরিকল্পিত ভাবে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালিয়েছে। শুধু তাই নয় আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তারা চিকিৎসা দিতেও রাজি হয়নি। এমনকি পরবর্তীতে আহত শিক্ষার্থীদের খুলনা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হলে শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ থেকে খুলনা মেডিকেলের ডাক্তারদেরকেও ইমেইল করে চিকিৎসা না দিতে নির্দেশনা দেয়া হয়। আমরা এসবের বিচার চাই।
প্রসঙ্গত, ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে গত ২১ নভেম্বর বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের এবং সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরসহ দুই শিক্ষক এবং প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী ও বেশ কয়েকজন সংবাদকর্মী আহত হয়।