ইসতিয়াক হোসেন সোয়েব
কোন এক জায়গায় পড়েছিলাম “টাকা পয়সা সম্পত্তি দখল করা যায়।কিন্তু মেধা এমন একটা সম্পদ যা কখনো দখল করা যায় না”। কিন্তু পশ্চিমারা এমন দূরদর্শী যে মেধারেও ছাড়ে নাই, নিয়ে নিচ্ছে সেরা মেধাবীদেরকে।
একটি রাষ্ট্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ তার মেধা।আর মেধাবীদের জন্য ইউরোপ আমেরিকা বরাবরই লোভনীয় এক জায়গা।
পরাপর দুইটা বিশ্বযুদ্ধ এবং ইত্যাদি নানা কারণে ইউরোপের আধুনিক রাষ্ট্রগুলোতে জনসংখ্যা ক্রমবর্ধমান হ্রাস পাচ্ছে। তাদের দেশে কর্মক্ষম লোকের সংখ্যা কমে যাচ্ছে,বয়স্ক লোকের সংখ্যা বাড়ছে। ফলাফল তাদের অর্থনৈতিক সচল রাখতে দরকার দক্ষ মানবশক্তি।আর এই মানবশক্তি তারা বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলো থেকে সংগ্রহ করে।
উন্নয়নশীল,অনুন্নত দেশগুলোতে মেধাবীরা তাদের মেধাকে কাজে লাগানোর জন্য যথেষ্ট সুযোগ সুবিধা এবং পরিবেশ থেকে বঞ্চিত হয়। যার কারণে ভবিষ্যতে উন্নতি লাভের সম্ভাবনাপূর্ণ কোন মেধাবীকে যদি তার ভবিষ্যতের পরিকল্পনার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হয় তার উওর হয় দেশে প্রথম সারির কোন সরকারি চাকরি অথবা ইউরোপ আমেরিকায় পাড়ি জমানো।
দেশের সরকারি-বে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো র্যাংকিংয়ে যেই অবস্থানেই থাকুক না কেন দেশের সবচেয়ে মেধাবীরা এইখানেই পড়ালেখা করে। আর এরাই দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। দেশকে সামনের কাতারে এরাই নিয়ে যাবে। এসব মেধাবীদের জ্ঞানকে কাজে লাগানোর জন্য দরকার প্রয়োজনীয় চাকরিক্ষেত্র। তাদের জন্য যদি প্রয়োজনীয় চাকরি ক্ষেত্র তৈরি না করা যায় তাহলে তারা পাড়ি জমাবে বিদেশে।
তাই শুধু র্যাংকিং এর পিছনে দৌঁড়ায় দেশের জন্য খুব একটা লাভ হবে না, যদি শিক্ষার্থীদের জন্য সঠিক কর্মক্ষেত্র তৈরি না করা যায়।
আমরা পড়াশোনার অবকাঠামোগত উন্নয়ন করলাম, অনেক বড় বড় বিজ্ঞানী, বিশ্লেষক ইত্যাদি তৈরি করলাম। কিন্তু তাদের এই জ্ঞানকে কাজে লাগানোর জন্য প্রয়োজনীয় চাকরি ক্ষেত্র যদি তৈরি করতে না পারি তাহলে তারা ইউরোপ আমেরিকায় পারি জমাবে।তাদের মেধা দেশের উন্নয়ন এ কাজে লাগবে না। তাই প্রয়োজনীয় কর্মক্ষেত্র তৈরি করতে না পারলে মেধা পাচার রোধ সম্ভব না।
লেখকঃ শিক্ষার্থী, আন্তজার্তিক সম্পর্ক বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।