বুধবার, ২৯ মার্চ ২০২৩, ০২:২৮ পূর্বাহ্ন

মেস-বাসা ভাড়া এখন রাবি শিক্ষার্থীদের গলার কাঁটা

  • আপডেট টাইম শুক্রবার, ১ মে, ২০২০, ১২.৪০ পিএম

এমএ জাহাঙ্গীর, রাবি প্রতিনিধিঃ করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করা হয়েছে বাংলাদেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য অনুসারে পরিস্থিতি প্রতিকূলে থাকলে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বন্ধ থাকতে পারে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানই। এমতাবস্থায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থীই বিচলিত। কারণ সংকটের এই মুহুর্তে শিক্ষার্থীদের গলার কাঁটা হয়ে দাড়িয়েছে মেস ও বাসা ভাড়া।

জানা যায়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসন সংকটের ফলে অধিকাংশ শিক্ষার্থীকেই থাকতে হয় মেস বা বাসা ভাড়া নিয়ে। মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত পরিবার থেকে উঠে আসা শিক্ষার্থীসহ সকল শিক্ষার্থীই এই সংকটময় পরিস্থিতিতে বিপাকে পড়েছেন ভাড়ার দুশ্চিন্তায়। শিক্ষার্থীরা জানান, এই অবস্থায় এই ভাড়া প্রদান গলার কাটা হয়ে দাড়িয়েছে। পরিবারের উপর ইহা একটি ভয়াবহ চাপের সৃষ্টি করছে।

সিউল হাসান নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমরা কয়েকজন মিলে একটা বাসা নিয়ে থাকি। চলমান পরিস্থিতি বিবেচনায় ভাড়া দিতে বিলম্ব হচ্ছে। তবে বাড়িওয়ালা কিছুতেই মানতে রাজি নয়। তার আদেশ যেকোনো মূল্যে ভাড়া দিতেই হবে। অন্যথায় কক্ষে থাকা সকল মালামাল বিক্রয় করে দেওয়ার হুমকিও দিচ্ছে।’

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দাবি, এই অসহায় মুহূর্তে যেন মেস মালিকরা সদয় হোন এবং প্রশাসন যেন এ বিষয়ে প্রদক্ষেপ নেয়। বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া ও সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু নিজেদের ফেসবুকের টাইমলাইনে শিক্ষার্থীদের ভাড়া মওকুফের আবেদন জানিয়েছেন। সেই সাথে রাজশাহী সিটি করপোরেশন মেয়রের হস্তক্ষেপ আশা করছেন তারা।

এদিকে রাজশাহীর মেসভাড়া মওকুফের দাবি জানিয়ে শিক্ষার্থীরা সামাজিক ফেসবুকে একটি গ্রুপও খুলেছেন। সেখানে সকলের দাবি যে, পরিবারের আয়সহ টিউশনির আয়ও বন্ধ হয়ে গেছে। এখন ভাড়া দেওয়াটা কঠিন বিষয়। তাই সাময়িক পরিস্থিতি বিবেচনা করে সরকারিভাবে আমাদের জন্য একটা নীতিমালা তৈরি করলে, সব মেস মালিক ও বাড়িওয়ালারা মানতে বাধ্য হতো। সকলেই উপকৃত হতো এতে।

মেস ও বাসা ভাড়া প্রসঙ্গে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর লুৎফর রহমান জানান, ইতিপূর্বে মেস মালিকদের সাথে ভাড়া মওকুফের বিষয়ে কথা বলেছি। কিন্তু তাদের তেমন সাড়া পাইনি। তারা বলছে মেস ও বাসা ভাড়া দিয়েই তাদের সংসার চলে। এই মুহুর্তে মেস ভাড়া নিয়ে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন সিদ্ধান্তে আসতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সুপারিশ করা ছাড়া হস্তক্ষেপ করার কিছু নেই। এমুহূর্ত্বে মেস মালিকগণ মানবিক হলেই এটা সম্ভব।

এ বিষয়ে মেস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন জানান, লম্বা সময় সবাই বাসায় থাকায় সেভাবে ভাড়া দিতে চাচ্ছে না। তবে মওকুফের বিষয়টি বিবেচনায় নেয়া হবে। অন্তত দুই পক্ষেরই সুবিধাজনক কিছু সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

The Campus Today YouTube Channel

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
themesbazar_creativenews_II7
All rights reserved © 2019-20 The Campus Today