রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্মদিনে ভ্রমণে বিশ্বজয়ী নাজমুনের শুভেচ্ছা

রাবি প্রতিনিধি


নাজমুন নাহার ইতিমধ্যেই পতাকা হাতে ১৪০ দেশ ভ্রমণে রেকর্ড সৃষ্টি করেছেন প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে। দুর্বার এই সাহসী পথ চলার প্রথম পদক্ষেপ শুরু হয়েছিল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে।

যিনি ধীরে-ধীরে ভেঙেছেন সকল কঠিন দেওয়াল, তারপর তিনি ছিনিয়ে এনেছেন দেশের জন্য এক বিরল গৌরব গাঁথা অর্জন, যে অর্জন পৃথিবীতে প্রথম কোন নারীর নিজ দেশের পতাকা হাতে এতগুলো দেশভ্রমনের রেকর্ড।

বাংলাদেশের পতাকাবাহী প্রথম বিশ্বজয়ী পরিব্রাজক নাজমুন নাহার আজ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ৬৭ জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ছাত্র-ছাত্রী শিক্ষক ও শুভানুধ্যায়ীদের।

তিনি বলেন, “দেশ ভ্রমণের প্রথম অভিযাত্রা ২০০০ সালে ইন্ডিয়া দিয়ে শুরু হওয়ার প্রথম পদক্ষেপ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষাঙ্গন থেকেই নেওয়া হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের সহযোগিতায় বাংলাদেশ গার্লস গাইড এসোসিয়েশনের মাধ্যমে প্রথম ইন্ডিয়া সফর দিয়ে শুরু হয় আমার বিশ্বভ্রমণ অভিযাত্রা।

আজ আমি পৃথিবীর ১৪০ দেশে বাংলাদেশের পতাকাকে পৌঁছে দিয়েছি। কিন্তু প্রথম পদক্ষেপ শুরু হয়েছিল এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মাটি থেকে। যে বিশ্ববিদ্যালয় আমার আজকের অর্জনের প্রথম অংশ জুড়ে আছে।”

তিনি বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় আমার জীবনের স্বপ্ন দেখা ও অনুপ্রেরণার একটি স্থান। যে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমার নিজেকে তৈরি করার সুযোগ হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের প্যারিস রোডে হাঁটতে হাঁটতে আমি মনে মনে স্বপ্ন বুনতাম কিভাবে পুরো পৃথিবীকে দেখা যাবে- আমার সেই স্বপ্ন আজ সত্যি হতে চলছে। ”

শততম দেশ ভ্রমণের মাইলফলক ছুঁয়ে যখন নাজমুন নাহার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আমন্ত্রণে গিয়েছিলেন তার ভালোবাসার ক্যাম্পাসে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ছাত্র-ছাত্রীরা মিলে ক্যারিয়ার ক্লাবের উদ্যোগে শহীদ মিনার মুক্তমঞ্চে তাকে দেওয়া হয়েছিল সংবর্ধনা। রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ থেকে নাজমুন নাহারকে দেওয়া হয়েছিল সম্মাননা ও সংবর্ধনা। বিদেশ ভ্রমণের প্রথম পদক্ষেপ শুরু হয়েছিল যেই মাটি থেকে সেটি আমার প্রিয় শিক্ষাঙ্গন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। যেই ক্যাম্পাসের সাথে জড়িয়ে আছে আমার বহু স্বর্ণালী স্মৃতি।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ছাত্র-ছাত্রীদের জানাই আমার শুভেচ্ছা ভালোবাসা! প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর এই ক্যাম্পাসের মাটি থেকে জীবন স্বপ্ন গড়ার প্রত্যয় নিয়ে এগিয়ে যাক সকল শিক্ষার্থীরা তাদের জীবন চলার সঠিক পথ ধরে।

Scroll to Top