সারাদেশ টুডে
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় হাফেজিয়া মাদ্রাসার ১৪ বছরের এক ছাত্রীকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে রাতভর গণধর্ষণ করেছে একটি যুবকের দল।
বুধবার সকালে তিন সদস্যের ওই ধর্ষক দলটি ছাত্রীকে গাড়িতে তুলে দেয়। পরে ভিক্টিমকে (ছাত্রীকে) তার বাবা ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসাতালে ভর্তি করান।
বর্তমানে ওই ছাত্রী ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এ ধর্ষণের ঘটনা মঙ্গলবার সদর উপজেলার বোরর চর ইউনিয়নে এ ঘটে।
ধর্ষণের শিকার মাদ্রাসা ছাত্রী জানান, “মঙ্গলবার বিকালে বোরকা কিনতে মুক্তাগাছায় যাই। বোরকা কেনার পর বাড়িতে ফেরার জন্য সিএনজি খোঁজার সময় পূর্বপরিচিত ওবায়দুলের সাথে দেখা হয়। ওবায়দুল আমাকে বলে আমিও যাব বলে সিএনজিতে উঠতে বলে। সিএনজিতে কালো বোরকা পড়া একজনকে দেখে আমিও সিএজিতে ওঠি।”
ওই ছাত্রী আরো জানান, “পরে সিএনজিটি ভিন্নপথে চলতে শুরু করলে চিৎকার শুরু করি। এ সময় বোরকা খুলে এক যুবক আমার মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে বলে চিৎকার করলে মেরে ফেলব। পরে আমাকে বোরর চর ইউনিয়নে নির্জন একটি বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে আমাকে শাকিল, ওবায়দুল, নাঈম পালাক্রমে ধর্ষণ করলে আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। পরদিন সকালে ওই তিনজন আমাকে একটি গাড়িতে তুলে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়।”
ওই ছাত্রীর বাবা বলেন, “আমার মেয়ে মাদ্রাসায় পড়ে বোরকা কিনতে মুক্তাগাছায় গেলে শাকিল, ওবায়দুল, নাঈম আমার মেয়েকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ ও শারীরিক নি’র্যাতন করে। আমি ওই তিনজনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।”
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি শাকের আহমেদ। তিনি বলেন, “এ ঘটনায় দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। তবে তাদের নাম ঠিকানা বলেননি তিনি।”