বশেমুরবিপ্রবি টুডে
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) এপ্লাইড কেমিস্ট্রি এন্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং (এসিসিই) ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক (আইআর) বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষে’র ঘটনা ঘটেছে।
রবিবার বেলা ১২টার দিকে ক্লাস রুম এবং অফিস রুমের মধ্যকার জায়গার অসমবন্টণ নিয়ে দুই বিভাগের শিক্ষার্থীদের মাঝে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া এবং সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে ।
এতে উভয় বিভাগের সাংবাদিক-শিক্ষার্থীসহ অন্তত ২০ জন এর মত গুরুতর ‘আহত’ হয়। এদের ভিতর আইআর বিভাগের নিলরঞ্জন গুরুতর ‘আহত’ হয়ে বর্তমানে গোপালগঞ্জের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় রয়েছেন ৷ সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে দৈনিক আমার সংবাদ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি সুকান্ত সরকার আহত হয়েছেন।
এছাড়াও এ ঘটনায় আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের দুইজন শিক্ষক লাঞ্চিত ও ‘আহত’ হয়েছেন।
এবিষয়ে সংঘর্ষে আহত হওয়া আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষিকা মাহাবুবা উদ্দীন বলেন, “আমি অফিসে কাজ করছিলাম এমন সময় কিছু শিক্ষার্থী এসে অফিস রুমে হামলা চালায় ৷ এসময় তারা জানালার কাঁচ ভাঙ্গে তাতে আমি গুরুতর আহত হই ৷”
তিনি আরও বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে এমন ব্যবহার সত্যিই দুঃখজনক ৷”
আইআর বিভাগের শিক্ষার্থী বলেন, একটি রুমে আইআর বিভাগের অফিস ও এসিসিই বিভাগের ক্লাস রুম। প্রথম দিকে রুম বিভাজনে কাঠের পার্টিশন দেওয়া ছিল। কিন্তু ক্লাস রুমে শব্দ আসার কারণে পরবর্তীতে আইআর বিভাগ পার্টিশন হিসেবে থাই ব্যবহার করে। এতে অসতর্কতার ফলে এসিসিই ক্লাস রুমের দিকে হাল্কা সরে যায়। এ নিয়ে এসিসিই বিভাগের শিক্ষার্থীরা তর্কাতর্কি করতে থাকলে একসময় তারা আমাদের ওপর হামলা চালায়।
এ ঘটনার বিষয়ে এসিসিই বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী আশিকুর রহমান বলেন, আমাদের বিভাগের ক্লাসরুমে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অফিস। তাছাড়া তাদের (আইআর) অফিস জানুয়ারি মাসে অন্যত্র স্থানান্তর করার কথা ছিলো। এদিকে তারা (আইআর) অফিসের জায়গায় প্রসারিত করলে ক্লাস রুমের জায়গা কমে যায়। এর সুষ্ঠু প্রতিবাদ করলে আইআর বিভাগের শিক্ষার্থীরা আমাদের ওপর হামলা করে।
এঘটনাকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থিতিশীল পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে ৷ বর্তমানে ক্যাম্পাসে পুলিশ অবস্থান করছে।