শবে-বরাতের রাতে শিশু ধর্ষণ, রক্তাক্ত শিশুকে নিয়ে থানায় মায়ের আহাজারি

| ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক | Avatar

ক্যাটাগরি : ,

সারাদেশ টুডে


ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আশুগঞ্জের সোনারামপুরে শবে বরাতের রাতে ৯ বছরের শিশুকে উঠিয়ে নিয়ে ধর্ষণ করে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রেখে গেছে ধর্ষক। আশুগঞ্জ থানার সামনে রক্তাক্ত সেই শিশুকে নিয়ে তাঁর মা আহাজারী করছেন।

বৃহস্পতিবার (৯ এপ্রিল) অর্থাৎ শবে বরাতের রাতে এ ঘটনা ঘটে। মেয়েটিকে উদ্ধার করে রক্তাক্ত অবস্থায় আশুগঞ্জ থানায় হাজির হয় তার মা। শিশুটির গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে, তার পরিবার আশুগঞ্জে একটি চাতালকলে শ্রমিক হওয়ায় সেখানেই বসবাস করেন। কন্যা শিশুর সাথে এমন বর্বর আচরণ করেছে স্থানীয় লম্পট যুবক লিটন মিয়া।

ধর্ষণের এই ঘটনায় লিটন মিয়া (২৫) নামের এক যুবককে আটক করা হয়েছে। সে কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্ট্রগ্রাম উপজেলার ইমান মিয়ার ছেলে ও আশুগঞ্জে একটি চাতাল কলে কাজ করেন।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিকেলে শিশুটি চাতাল কলের ভেতরে খেলা করছিল। এর কিছুক্ষণ পর সন্ধ্যার দিকে শিশুটির বড় ভাইয়ের বন্ধু আরেক চাতাল কলের শ্রমিক লিটন সেখানে আসে। এসময় শিশুটিকে ফুসলিয়ে নিয়ে গিয়ে ধান ক্ষেতে ধর্ষণ করে ফেলে রেখে যায়।সন্ধ্যার পর ওই শিশুর এক সহপাঠী তার পরিবারকে এসে জানায় শিশুটি রক্তাক্ত অবস্থায় ধান ক্ষেতে পড়ে আছে।

খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা গিয়ে শিশুটিকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এর কিছুক্ষণ পর খবর পাওয়া যায় অভিযুক্ত লিটন থানার সামনে দিয়ে ঘুরাঘুরি করছে। পুলিশকে জানালে লিটনকে আটক করা হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, শিশুটির অবস্থা খুবই খারাপ। তার বিশেষ অঙ্গ দিয়ে প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছে। আমরা জরুরি ভিত্তিতে গাইনি কনসালটেন্ট কল করে চিকিৎসা সেবা শুরু করেছি। এমনকি শিশুটিকে ঢাকায় প্রেরণ করা হতে পারে।

অভিযুক্তকে আটকের ব্যাপারে আশুগঞ্জ-সরাইল সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মাসুদ রানা বলেন, ” এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে শিশুটি শনাক্ত করার পর আটক করা হয়েছে। শিশুটিকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।”

সংবাদটি শেয়ার করুন
fb-share-icon
Tweet