আকাশের শুভ্রতা ছড়িয়ে আছে সারি সারি মেঘ। সেই মেঘ ছুঁয়ে মাটিতে ফুটেছে কাশফুল। এমন সৌন্দর্য যে কারো হৃদয় ছুঁয়ে যাবে। শরৎ পেরিয়ে গেলেও নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) কাশফুরের সৌন্দর্য দিন দিন বেড়েই চলেছে।
প্রতি বছর শরতের আগমনে ক্যাম্পাসটি কাশফুলে ভরে গেলেও এবছর দেখা যায় ভিন্ন রূপ। শরতের শেষে কাশফুল তার রূপ-লাবণ্যে জাগিয়ে তুলেছে প্রকৃতিকে।
ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরীণ রাস্তার দুই পাশ, খেলার মাঠ ও নীল দীঘির পাড়ে কাশফুলের দেখা মিলবে। ক্যাম্পাসের দৃষ্টিনন্দন কাশফুলের সৌন্দর্য মুগ্ধ করছে শিক্ষার্থীদের। এ ছাড়াও ছুটির দিনগুলোতে দেখা মিলে দর্শনার্থীদেরও।
পশ্চিম আকাশে সূর্য যাওয়ার পূর্বক্ষণে কাশফুলের সৌন্দর্য দেখতে ভিড় বাড়ে শিক্ষার্থীদের। কেউ বন্ধুদের সঙ্গে যায়, কেউবা প্রিয়তমাকে নিয়ে। হালকা বাতাসে কাশফুলের দোলের মাঝে নিজেকে বিলিয়ে দেয় তারা। কেউবা সেই অনুভূতিগুলোকে ক্যামেরায় ফ্রেমবন্দি করে।
কাশফুলে ঘুরতে আসা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধ স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী সুরভী জামান মুন বলেন, আমাদের ক্যাম্পাসের এক অনন্য সৌন্দর্য হলো কাশফুল। এ বছর কাশফুলের পরিমাণ খুব কম। অন্যান্য বছর সেন্ট্রাল ফিল্ড সহ ক্যাম্পাসের অন্যান্য জায়গায় কাশফুলের পরিমাণ বেশি ছিল। কাশফুলের সৌন্দর্য আমাদের খুবই বিমোহিত করে। অনেক ভালো লাগে বিকেলবেলা কাশফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে।
ছুটির দিনগুলোতে কাশফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে দর্শনার্থীদের ভীড় জমে। শুক্রবার ছুটির দিনে ঘুরতে আসা এক দর্শনার্থী বলেন, অনেক দিন ধরে ইচ্ছে ছিলো নোবিপ্রবি ক্যাম্পাসে আসবো কাশফুলের সৌন্দর্য দেখতে। আজকে ছুটির দিনে পরিবারসহ ঘুরতে আসলাম। কাশফুলের সৌন্দর্য সত্যিই ভালো লেগেছে।