আব্দুল্লাহ আল নোমান, নোবিপ্রবি প্রতিনিধি : ১৭ই মার্চ যদি তিনি জন্ম না নিতেন তাহলে ৭ই মার্চের জন্ম হতোনা,হতোনা ২৬ই মার্চের মতো বীরত্বের জন্ম, হয়তো ১৬ই ডিসেম্বর বিজয়ের হাসিও আমরা হাসতে পারতাম না।সেদিন ১৯২০ খ্রিষ্টাব্দের ১৭ই মার্চ (৩রা চৈত্র ১৩২৭ বঙ্গাব্দ) টুঙ্গিপাড়া গ্রামে ছোট্ট এক শিশু জন্ম নিয়ে বাঙালি জাতির ভাগ্য বদলে দিয়েছিলেন।যার না শেখ মুজিবুর রহমান।পরে তিনি হয়ে উঠেন বঙ্গবন্ধু। সেই ছোট্ট শিশুর জন্মদিন ও শিশু দিবসকে স্মরণীয় করে রাখতে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) শিশুদের নিয়েই উদযাপিত হয়েছে ১৭ই মার্চ।
বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) এ উপলক্ষে আয়োজিত কর্মসূচিসমূহের মধ্যে ছিল- শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন, র্যালি, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, কেক কাটা, শিশুদের নিয়ে চলচ্চিত্র প্রদর্শন,আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণী, শিশুদের জন্য দুপুরের খাবার পরিবেশন, মিলাদ মাহফিল এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
এদিন সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। জাতীয় সংগীত পরিবেশন শেষে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন নোবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ দিদার-উল-আলম। উদ্বোধন শেষে এক বর্ণাঢ্য র্যালি অনুষ্ঠিত হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ দিদার-উল-আলমের নেতৃত্বে র্যালিটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। র্যালি শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ইনস্টিটিউট, বিভাগ, হল, শিক্ষক সমিতি, অফিসার্স এসোসিয়েশন, কর্মচারীবৃন্দ এবং নোবিপ্রবির বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ হতে জাতির পিতার ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পরে বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী মোহাম্মদ ইদ্রিস অডিটোরিয়ামে শিশুদের নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক চলচ্চিত্র প্রদর্শন,শিশুদের নিয়ে কেক কাটা, আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও দুপুরের নামাজের পর মসজিদে মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ দিদার-উল-আলম বলেন, ‘আনন্দঘন এই দিনে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা। বঙ্গবন্ধু আমাদের সবার হৃদয়ে ঠাঁই করে আছেন, বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশের জন্ম হতো না। জন্মদিনে এই মহান নেতার আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি এবং একই সাথে স্বাধীনতা সংগ্রামের সকল বীর শহিদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি।
ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক বিপ্লব মল্লিকের সঞ্চালনায় এবং নোবিপ্রবির উপ-উপাচার্য ও জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুল বাকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন নোবিপ্রবি কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফারুক উদ্দিন, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর, রেজিস্ট্রার (অ.দা) মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন, অফিসার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন, কর্মচারীদের পক্ষে আবদুল্লাহ আল-মামুন।
আরও উপস্থিত ছিলেন নোবিপ্রবির বিভিন্ন অনুষদসমূহের ডিন, ইনস্টিটিউটসমূহের পরিচালক, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যানবৃন্দ, হলের প্রভোস্টবৃন্দ, শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ, অফিসার্স এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ এবং ছাত্র-শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ। পরে বীরমুক্তিযোদ্ধা হাজী মোহাম্মদ ইদ্রিছ অডিটোরিয়ামে শিশুদের দুপুরের খাবার পরিবেশন করা হয়। এছাড়াও বিকেলে ছাত্র-শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অংশগ্রহণে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।