সরকারের সমালোচনা করায় ইবি ছাত্র ইউনিয়ন নেতা সাময়িক বহিস্কার

ইবি প্রতিনিধি: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরকারের সমালোচনা করায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইউনিয়ন সাধারন সম্পাদককে সাময়িক বহিস্কার করেছে কতৃপক্ষ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিক এক অফিস আদেশে বিষয়টি জানা গেছে।

জানা যায়, গত শনিবার সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুর আগে ও পরে ইবি ছাত্র ইউনিয়ন সংসদের সাধারন সম্পাদক জি কে সাদিক তার ব্যাক্তিগত ফেসবুক একাউন্ট থেকে কয়েকটি স্ট্যাটাস দেন। এতে তিনি মোহাম্মদ নাসিম ও সরকারের সমালোচনায় আপত্তিকর ভাষা ব্যবহার করেন।

এছাড়াও তিনি দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার সমালোচনা করে বিভিন্ন পোস্ট দেন। তার এসব পোস্টের পর থেকেই শাখা ছাত্রলীগের বর্তমান ও সাবেক নেতাকর্মীরা প্রতিবাদ জানিয়ে সাদিকের শাস্তি দাবি করে আসছেন। ছাত্রলীগের দাবির প্রেক্ষিতে আজ বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

ফেসবুকে স্ট্যাটাসে সাদিক বলেন, ‘যেসব গাল খেচক ও দালাল বুদ্ধিজীবীরা
বলেন যে গত দশ বছরে সরকার উন্নয়ন করে দেশের অবস্থা আসমানে তুলে ফেলছে সেসব চুদির ভাই বুদ্ধিজীবীদের বলি তোদের বাপ সাবেক স্বাস্থ্যমমন্ত্রী নাসিম সরকারি হাসপাতাল রেখে বেসরকারিতে কেন’।

এদিকে ইবি সাধারন সম্পাদককে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিস্কার করার পরেই বিবৃতি দিয়েছে ছাত্র ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় সংসদ।

এতে ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মেহেদী হাসান নোবেল ও সাধারণ সম্পাদক অনিক রায় যৌথ বিবৃতিতে বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে সরকারের বিভিন্ন কর্মকান্ডের যৌক্তিক সমালোচনা করলেই কন্ঠরোধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে ক্ষুণ্ণ করে ভয় ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে। এরই ধারাবাহিকতায়, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক জি.কে সাদিককে অভিযুক্ত করে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। আমরা অনতিবিলম্বে এই বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করার দাবি জানাচ্ছি।’

এ বিষয়ে জি কে সাদিক বলেন, আমার কিছু ফেইসবুক পোস্টকে প্রশাসন আপত্তি জনক মনে করে সাময়িক বহিষ্কার করেছে। এটা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অগণতান্ত্রিক ও ফ্যাসিস্ট মনোভাবের প্রকাশ। তারা আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এনেছে সেটা আমি অফিসিয়ালি এখনও পাইনি। পেলে উপযুক্ত জবাব দিবো।’

Scroll to Top