আজিজুল হক, সিকৃবি প্রতিনিধি: সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ কর্তৃক জাতীয় শোক দিবস শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় শোক দিবস স্মরণে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘মুজিব নামে বুকের ভেতর রক্তধারা বয়, শোককে করবো শক্তি, এই দৃঢ় প্রত্যয়’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) বিকাল ৪ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উদ্যোগে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় সাধারণ সম্পাদক মোঃ এমদাদুল হোসেনের সঞ্চালনায় ও সভাপতি মোঃ আশিকুর রহমান আশিকের সভাপতিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় ভাইসচ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ মতিয়ার রহমান হাওলাদার, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর ড. সৈয়দ সায়েম উদ্দিন আহম্মদ সভাপতি শিক্ষক সমিতি, জনাব মোঃ বদরুল ইসলাম শোয়েব রেজিস্ট্রার সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, প্রফেসর ড. মোঃ মোস্তফা সামছুজ্জামান পরিচালক ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তর, প্রফেসর ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন সভাপতি গনতান্ত্রিক শিক্ষক পরিষদ এবং জনাব ড. তরিকুল ইসলাম প্রক্টর( ভারপ্রাপ্ত)।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাননীয় ভাইসচ্যান্সেলর বলেন বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাঙ্গালী জাতি স্বাধীন ভূখণ্ড পেয়েছে। সেই ইতিহাস মুছে দেওয়ার জন্য ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুসহ পরিবারের উপস্থিত সকল সদস্যকে নৃসংশ ভাবে হত্যা করে। তিনি আরও বলেন বঙ্গবন্ধুর ক্ষুধা ও দারিদ্র্য মুক্ত দেশ গড়ার লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি ছাত্রলীগ কর্মী ও সকল ছাত্র ছাত্রীদের পড়ালেখার পাশাপাশি অন্যান্য জ্ঞান আরোহনমূলক সংগঠনে কাজ করতে বলেছেন।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ এমদাদুল হোসেন বলেন শোকাবহ আগস্ট মাসের শোককে শক্তিতে রুপান্তরের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু ও দেশনেত্রী শেখ হাসিনার আদর্শ বাস্তবায়নে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ সদা তৎপর। এসময় তিনি বলেন কুচক্রী মহল ও দুঃস্কৃতিকারীদের অপচেষ্টা রুখে দিতে ছাত্রলীগ সর্বদা প্রস্তুত এবং সর্বশেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম গেইটের সংস্করণের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাষনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি শোকের মাসের সামগ্রিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন এবং মুক্ত রাজনীতি চর্চার জন্য একটি অফিস কক্ষের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন জানান। অনুষ্ঠানটি সভাপতির বক্তব্যের মাধ্যমে সমাপ্তি ঘোষনা করা হয়।