সেশনজটে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ লাখ শিক্ষার্থী
ক্যাম্পাস টুডে ডেস্কঃ মহামারিতে দেশের সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সীমিত পরিসরে কমবেশি সচল রাখা হলেও বন্ধ রয়েছে সব শ্রেণির শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। যদিও দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে কিছু কিছু অনলাইনে তাদের শিক্ষা কার্যক্রম চালু রেখেছে।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বলতে গেলে একেবারেই বন্ধ। যদিও দুয়েকমাস আগে সরকার ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে, ঈদুল ফিতরের পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ধীরে ধীরে খুলে দেওয়া হবে। তবে সম্প্রতি দেশে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হবে না বলেই ধারণা করা হচ্ছে। যে কারণে এসব প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা সেশনজট আর পরীক্ষা নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষার্থী জানান, তাদের মাস্টার্সের শেষ পরীক্ষাটি মহামারির কারণে আটকে যায় ২০২০ সালের মার্চে। যেটি নেওয়া হয়েছে এ বছরের এপ্রিলে। এখন আবার ফল প্রকাশ নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের বিভাগে কোনো সেশনজট ছিল না। কিন্তু মাহামারির কারণে সব ওলট-পালট হয়ে গেছে। এখন হয়তো আমরা ভালো কোনো চাকরিতে থাকতাম। কিন্তু সেখানে অপেক্ষা করছি মাস্টার্সের ফলের জন্য।’
ইউজিসির সদস্য সাজ্জাদ হোসাইন জানান, ‘মহামারি পরিস্থিতি আরও দীর্ঘ হবে কি না সেটি এখনো কেউ বলতে পারছে না। হতেও পারে। তাহলে কি শিক্ষার্থীরা বসেই থাকবে? তাদের বয়স বসে থাকবে? শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে হলে অনলাইনে পরীক্ষা নিতেই হবে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে পরীক্ষা নিতে তাগিদ দিয়েছি।’
সারাদেশে বর্তমানে ৪৯টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এছাড়া জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়। এসব বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রায় তিন লাখ শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছেন। যাদের অনেকেই রয়েছেন শিক্ষাজীবনের একেবারে প্রান্তে। গেল বছর মহামারির কারণে দেওয়া লকডাউনের কারণে দেড় বছর ধরে তাদের শিক্ষাজীবন আটকে রয়েছে। এ বছর ২৪ মে ক্লাস রুম খুলে দেওয়ার কথা থাকলেও করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সেটি আবারও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। ফলে অনিশ্চিত তিন লাখ শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন।