স্বপ্নপূরণে নেতৃত্ব দিতে তিতুমীর কলেজ ক্যারিয়ার ক্লাবের যাত্রা শুরু

আরাফাত হোসেন, জিটিসি প্রতিনিধি


শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার ভাবনা নিয়ে হাজারো সমস্যা সমাধান ও দক্ষতা উন্নয়নের মহৎ উদ্দেশ্যকে সামনে নিয়ে যাত্রা শুরু করলো তিতুমীর কলেজ ক্যারিয়ার ক্লাব।

রবিবার (৮ মার্চ) জিল্লুর, জাহিন, তন্ময়, ফারদিন, মহিউদ্দীনের মত কিছু স্বপ্নদ্রষ্টাদের হাত ধরে শুরু হয় তিতুমীর কলেজ ক্যারিয়ার ক্লাবের স্বপ্ন যাত্রা।

তিতুমীর কলেজ ক্যারিয়ার ক্লাবের যাত্রার অনুমতি দিয়েছেন কলেজটির অধ্যক্ষ প্রফেসর আশরাফ হোসেন। ক্লাবটির সার্বিক তত্বাবধানে ছিলেন দর্শন বিভাগের অধ্যাপক মালেকা আক্তার বানু এবং ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রকিবুল হক মুন্সি।

সদ্য সরকারি তিতুমীর কলেজ ক্যারিয়ার ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা জিল্লুর রহমান দ্যা ক্যাম্পাস টুডে’কে জানান তার স্বপ্নের কথা। তিনি বলেন, সহজেই যেকোনো পরিবেশে মানিয়ে নেয়ার পাশাপাশি কর্মস্থলে নিজেকে পরিপক্ব করে গড়ে তোলাই ক্যারিয়ার ক্লাবের উদ্দেশ্য।

ক্লাবটির সদস্য সংগ্রহের ব্যাপারে জানতে চাইলে জিল্লুর রহমান বলেন, বর্তমানে আমাদের সক্রিয় ২৭ জন সদস্য রয়েছে। পরবর্তীতে ক্লাবের সকল সদস্যের মতামতের ভিত্তিতে আগ্রহীদের সদস্য হওয়ার প্রক্রিয়া জানিয়ে দেয়া হবে।

ক্লাবটি গঠনের উদ্দেশ্য ও এর কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চাইলে ক্লাবটির প্রতিষ্ঠাতা জিল্লুর রহমান বলেন, ‘বর্তমান প্রতিযোগিতাপূর্ণ বাজারে একাডেমিক ফল এখন আর যোগ্যতা যাচাইয়ের একমাত্র মানদন্ড নয়, এখন চাকরিদাতারা একাডেমিক ফলের পাশাপাশি প্রার্থীর অন্যান্য দক্ষতা যেমন নেতৃত্ব, পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর সক্ষমতাসহ বিভিন্ন বিষয়ে যাচাই করে থাকেন। আর একজন ভালো উদ্যোক্তা হওয়ার জন্যও নেতৃত্বদানের বৈশিষ্ট্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাই ক্লাবের সদস্যদের মধ্যে এসব গুণাগুণের উন্নয়ন, ভবিষ্যৎ উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখা তরুণদের নেতৃত্ব সম্পর্কীয় গুণাবলি বিকাশ ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্যারিয়ার নিয়ে স্পষ্ট ধারণা তৈরিই আমাদের ক্লাব গঠনের মূল উদ্দেশ্য।

ক্যারিয়ার ক্লাবকে ঘিরে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা প্রশ্নের উত্তরে জিল্লুর বলেন, প্রতিযোগিতার এই যুগে কর্মসংস্থানে টিকে থাকাই আমাদের প্রথম লক্ষ্য। তিতুমীরের প্রতিষ্ঠিত প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা আমাদের লক্ষ্য যেতে সহযোগিতা করবে। নিজেদের দেখতে চাই অন্যদের থেকে একধাপ এগিয়ে। আমার বিশ্বাস এই উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন হলে কর্মসংস্থানে আমাদের কেউ ফিরে আসবে না। সেই সঙ্গে নেতৃত্বে আমরা থাকবো সেরাদের কাতারে।

আধুনিক যুগে শিক্ষার্থীরা যখন হতাশ হয়ে পরে, আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলে কিন্তু নিজের মধ্যে লুকিয়ে থাকা শক্তি আর সুপ্ত প্রতিভার জায়গাটা খোঁজে না, স্বপ্নটাকে সীমাবদ্ধ করে রাখে, গতানুগতিক চিন্তার বাইরে স্বপ্ন দেখতে ভয় পায় ক্যারিয়ার নির্ধারণেও তাই দ্বিধায় ভুগে আর ক্যারিয়ার সম্পর্কিত এই দ্বিধার চক্র থেকে বের করে আসতে পারে না তাদের জন্য অনন্য ভূমিকা রাখবে এই ক্যারিয়ার ক্লাব।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ

Leave a Comment