স্বল্প খরচে উচ্চমানের শিক্ষা গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগে

সুপর্না রহমান


সবুজের মাঝে চলছে গবেষণা। নাগরিক কোলাহল ছেড়ে গ্রামীণ পরিবেশে গড়ে উঠেছে এক শিক্ষালয়। ইতিহাস, সংস্কৃতি ও খেলাধুলা চর্চার যুগোপযোগী ঠিকানার নাম গণ বিশ্ববিদ্যালয় (গবি)।

মাত্র ১৫ জন শিক্ষার্থী নিয়ে, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগ শিক্ষাক্রম শুরু করে। ২০১৫ সালে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) এই বিভাগের অনুমোদন দেয়। নানান চড়াই-উতরাই কাটিয়ে এখন বিভাগটি স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে।

বর্তমানে ৮টি ব্যাচে ১৯৬ জন শিক্ষার্থী পড়ছেন এখানে। শিক্ষার্থীদের সুবিধা অসুবিধা, প্রয়োজনে যত্ন সহকারে কাউন্সিলিং করেন বিভাগের শিক্ষাদাতারা। তাদের অতুলনীয় স্নেহ ও প্রচেষ্টায় শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার পাশাপাশি হয়ে উঠে একজন মানবিক মানুষ।

এই বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে গবেষণার সুযোগ। বর্তমানে এই বিভাগের শিক্ষকদের সরাসরি তত্ত্বাবধানে ৬টি প্রজেক্টে গবেষণার কাজ চলছে৷ মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের বিদেশে উচ্চ শিক্ষার সুযোগ করে দেয় এই বিভাগ।

বিভাগের শিক্ষকরা জানান, বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে সম্ভাবনাময় চাকরির সুযোগ। বিশ্ববিদ্যালয়, ফার্মাসিউটিক্যালস ইন্ডাস্ট্রি, ফুড এন্ড বেভারেজ কোম্পানি, হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার, গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিএসটিআই, বিসিএসআইআর, পরমানু শক্তি কমিশন, পিসিআর ল্যাব, ফরেনসিক ল্যাব, কৃষি গবেষণাসহ সরকারি চাকরির সুযোগ)।

বিভাগীয় প্রধান ড. ফুয়াদ হোসেন জানান, এখন পর্যন্ত ৩টি ব্যাচের স্নাতক শেষ হয়েছে৷ এদের মধ্যে কেউই বেকার নেই। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে (ডায়াগনস্টিক, ফার্মাসিউটিক্যালস, গবেষণা প্রতিষ্ঠান) চাকরি করছেন। পাশাপাশি কেউ কেউ উচ্চশিক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

গোটা দেশে হাতেগোনা কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাণরসায়ন বিভাগ চালু রয়েছে। কিন্তু তা গরীব শিক্ষার্থীদের জন্য অত্যন্ত ব্যয়বহুল। তবে গবির প্রাণরসায়ন বিভাগ ভিন্ন। এখানে ৪ বছরে ২ লক্ষ ২৫ হাজার টাকায় একজন শিক্ষার্থী স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করতে পারেন৷ কাঙ্খিত ফলাফল ও উপস্থিতির ভিত্তিতে ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত শিক্ষাবৃত্তি পেয়ে থাকেন শিক্ষার্থীরা। এতে দেড় লাখ টাকারও কম খরচে পড়তে পারেন ছাত্রছাত্রীরা।

Scroll to Top