বুধবার, ২২ মার্চ ২০২৩, ০৮:৩৬ পূর্বাহ্ন

‘স্যার আমাকে জেলে দিবেন না!’

  • আপডেট টাইম শনিবার, ১২ অক্টোবর, ২০১৯, ৫.১২ পিএম

বশেমুরবিপ্রবি টুডেঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) সামাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মো. হুমায়ুন কবির শিক্ষার্থী সালমানকে নিয়ে ফেসবুকে দেওয়া পোস্টটি ইতোমধ্যে ভাইরাল।

দ্য ক্যাম্পাস টুডে’ এর পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হল-

CSE ডিপার্টমেন্টের সালমানকে ক্রিকেটের স্ট্যাম্প দিয়ে পিটানো হচ্ছে প্রশাসনিক ভবনের নিচে। তখন রাত আনুমানিক ১২ টা বাজে। একজন স্টুডেন্ট ফোন করে আমাকে ইনফরমেশন দেয়। গিয়ে দেখি ভয়াবহ কান্ড, হাতে পায়ে রক্ত জমাট বেধে আছে ছেলেটার।

আরিফ, রাফিজ, সাজিদ, নাহিদ ও আরো ১০-১৫ জন মিলে ছেলেটাকে গণধোলাই দিচ্ছে। ভিড়ের মধ্যে অনেক কষ্ট করে ছেলেটাকে প্রক্টর রুমে নিয়ে আসলাম। তারপর আরও কয়েকজন সহকারী প্রক্টর আসলো। শুরু হলো দ্বিতীয় দফা মানসিক নির্যাতন। আমার কিছু সহকর্মী অকথ্য ভাষায় ছেলেটাকে গালিগালাজ করলো।

বারবার আমাদের পা ধরতেছিলো- ” স্যার আমাকে জেলে দিবেন না।” অতঃপর তাকে থানায় দিয়ে দেয়া হলো। ছেলেটার অন্যায় কি ছিলো জানেন? সে মেসেঞ্জারে তার বান্ধবী ফাতেমা তুজ জিনিয়ার সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অসংগতি নিয়ে কথা বলেছিলো, যা বর্তমানে প্রমাণীত। এখন প্রশ্ন হলো- অনুমতি ব্যতীত কারুর ব্যক্তিগত মেসেঞ্জার চেক করা যায় কিনা?

এজন্য কাউকে জেলে পাঠানো যায় কিনা? বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন স্টুডেন্টকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে পারে কিনা? কোন অপরাধে পাষবিক হিংস্রতার শিকার ছেলেটা ১২ দিন জেল কাটলো? আবরারকে জেলে দেয়ার জন্য পুলিশ ডাকা হয়েছিল। ভাগ্যিস ছেলেটা মারা গিয়ে রেহাই পায়ছে। না হয় কতোদিন যে জেলের প্রকোষ্ঠে দিন কাটতো! এসব অপকর্মের নেতৃত্ব দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ও ছাত্র নামধারী কিছু সন্ত্রাসী।”

দ্য ক্যাম্পাস টুডে । 

The Campus Today YouTube Channel

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
themesbazar_creativenews_II7
All rights reserved © 2019-20 The Campus Today