স্যার, সবাই মুখোশ আর হাত-ধোয়ার ‘ঔষধ’ দেয়, পেটে দেয়ার কিছু দেয় না

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


স্থবির সারাবিশ্ব। করোনার তাণ্ডবে দিশেহারা গোটা বিশ্বের মানুষ। করোনা ভাইরাসের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বাংলাদেশে। সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে স্বল্প আয়ের মানুষের উপরে। এই অবস্থায় তাদের জীবনযাত্রার ব্যয় নির্বাহ করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে।

করোনার মোকাবেলায় বাংলাদেশকে লকডাউন করা হয়েছে। সেই সঙ্গে দু’জন চলাচল নিষিদ্ধ ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে প্রয়োজনীয় কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে সারাদেশে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। দোকানপাট বন্ধ, যানচলাচলও বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

করোনার আশঙ্কায় মানুষের স্বাভাবিক চলাচল বাধাগ্রস্ত হওয়ায় এর প্রভাব পড়েছে ফুটপাথের ব্যবসায়ী, চা দোকানদার, রিকশাওয়ালা এবং দিনমজুরদের জীবনযাত্রায়।

দেশের এমন পরিস্থিতিতে সিলেট নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় দোকানপাট বন্ধ থাকায় জনশূন্য হয়ে পড়েছে রাস্তাঘাট। নগরীর জিন্দাবাজার, বন্দরবাজার, আম্বরখানা, মদিনা মার্কেট ঘুরে দৃশ্য দেখা যায়। তবে মাঝে মধ্যে রিক্সা চলাচল করতে দেখা যায়।

জিজ্ঞেস করলে এক রিক্সাচালক বলেন, ‘স্যার, পেট-পিঠের তো লগটাউন (লকডাউন) হয় না। রিক্সা না চালালে খাবো কি? বাচ্চা-কাচ্চা (বউ-বাচ্চা) তো না খেয়ে মরবে। হক্কলে (সবাই) খালি (শুধু) মুখোশ (মাস্ক) আর হাতধোয়ার ঔষুধ দেয়, পেটে দেয়ার মতো খাবার তো কেউ দেয় না।

খুব প্রয়োজন ছাড়া মানুষ এখন বাহিরে কম বের হওয়ায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে ফুটপাথের ব্যবসায়ী এবং রিকশা চালকরা। গণপরিবহন শ্রমিকরাও আছে অস্বস্তিতে। সাপ্তাহিক সরকারি ছুটির দিন হওয়ায় অন্যান্য সময়ে ক্রেতা সাধারণের চাপ থাকতো মারাত্নক রকমের ফুটপাথের অস্থায়ী দোকানগুলোতে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ

Leave a Comment