মুহাম্মদ ইকবাল মুনাওয়ার, কুবি প্রতিনিধি
করোনা ভাইরাসের কারণে ক্যাম্পাস বন্ধ এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষার্থীদের মাঝে হটাৎ করে মাথা ন্যাড়ার হিড়িক পড়ে গেছে। করোনা ভাইরাস আতঙ্কের মধ্যে এমন দৃশ্য যেমন বিনোদন দিচ্ছে তেমনি কৌতূহলও জাগাচ্ছে শিক্ষার্থীদের মাঝে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিদিন কুবি শিক্ষার্থীদের কাউকে না কাউকে মাথা ন্যাড়া করে ফেসবুকে ছবি আপলোড করতে দেখা যাচ্ছে। যেখানে মাথা ন্যাড়া করলে অনেকে বিরূপ মন্তব্য করেন; অনেকে আবার মশকরা করতে ন্যাড়া মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বিরক্ত করে বসেন, সেখানে হটাৎ এমন হিড়িক কেন! শুধু তাই নয় অন্যদেরও তারা মাথা ন্যাড়া করার জন্য উৎসাহিত করছে। এছাড়াও বেশ কয়েকজন ন্যাড়া মাথার ছবি আপলোড দিয়ে কমেন্টের বিনিময়ে চ্যালেঞ্জ নিচ্ছেন বলে সরেজমিনে দেখা যায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী মাজহারুল ইসলাম হানিফ বলেন, টাক পুরুষদের সাহসিকতার প্রতিচ্ছবি।পুরুষদের স্টাইলে ভিন্ন মাত্রা যোগ করে।টাক হতে পেরে আমি গর্বিত ও আনন্দিত।সাহসী ও স্বাধীনচেতা পুরুষদের কাছে আহবান থাকবে,”টাক হোন,আনন্দময় জীবনের অধিকারী হোন”।
এছাড়াও ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী নয়ন বলেন, যারা ন্যাড়া হয় তারা পৃথিবীতে থেকে স্বর্গের ছোয়া পায়। মাথায় যখন ঠান্ডা আবহাওয়া লাগে তখন বুঝা যায় টাক হওয়ার সার্থকতা। এই গরমে যারা টাক না হয়ে আছে তারা পৃথিবীর অনেক স্বাদ পায়নি। খুসকি নিয়ে চিন্তা মুক্ত থাকার একমাত্র উপায় টাক হওয়া। টাক হওয়ার এমন আরো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তিনি ক্যাম্পাস টুডেকে দেন।
কুবি শিক্ষার্থীদের হটাৎ এমন মাথা ন্যাড়ার গল্প ওঠে আসছে দ্য ক্যাম্পাস টুডে এর পাতায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী আজাদ বলেন, সর্বপ্রথম যদি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় টাকলু সোসাইটির উদ্যোগ আমি নিয়েছিলাম, তিনি আরো বলেন, যারা টাকলু হয়, তারা একমাত্র সাম্যবাদী, কারন হিসেবে আমি বলতে চাই, আপনি দেখেন, যারা বেল হয়,তারা সবাই একিই রকম থাকে, তাদের মাথার অবস্থা এক থাকে।আর যাদের চুল আছে, তারা কে কোন ধরনের স্টাইল করবে তা নিয়ে পড়ে থাকে। বিভিন্ন ভেদাভেদ দেখা যায়।
আর তা ছাড়া বেল হবার অনেক উপকারীতা রয়েই, যেমন ধরেন, মাথা ঠান্ডা থাকে, রাতে আরামছে ঘুম আসে, এই ছাড়া যাদের মাথা খুসকি থাকে, তাদের খুসকির সমাধান হয়ে যায়, অনেকের ধারনা বেল হলে নতুন চুল গোজা। আর সবচেয়ে মজার বিষয় হলো, টাকওয়ালা বা বেল যারা দেখবেন তাদের বৌ সবচেয়ে সুন্দর,তারাই সুন্দরী বৌ পায়।
তাই বলবো আপনারা বেল হন, আর ছোট বেলা যে বেল হয়েছেন,অতীতে ফিরে যান এক মুহূর্তের জন্য হলেও।