বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) নীহার কান্তি বিশ্বাস নামে এক প্রশাসনিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিয়মিত অফিস কক্ষে উচ্চশব্দে হিন্দি গান বাজানোর অভিযোগ উঠেছে। তিনি মার্কেটিং বিভাগের বিভাগের অফিস কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) বিকেলে নীহার কান্তি বিশ্বাসের এমন অসদাচরণের অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থী ও তার সহকর্মীদের দাবি শুধু গান নয়, অফিস চলাকালীন সময়ে নিয়মিত হিন্দি সিনেমা দেখা তার রোজকার অভ্যাস। এছাড়াও ঐ বিভাগের একাধিক শিক্ষার্থীর সাথে তার গালিগালাজসহ অসদাচরণ প্রদর্শনের অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বলেন, মার্কেটিং বিভাগের অফিস কর্মকর্তা নীহার কান্তি বিশ্বাস আমাদের সাথে খারাপ ব্যবহারসহ হুমকি দেন। নিজেদের নিরাপত্তার জন্য রেজিস্ট্রার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। আশা করি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনে সুষ্ঠু ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
লিখিত অভিযোগে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জানান, গত ০৮ মার্চ আমাদের ভাইভা চলছিল। ভাইভা শেষে ফেরার পথে মার্কেটিং বিভাগের একটি বই আন্তর্জাতিক বিভাগের অফিস কক্ষের সামনে দেখতে পাই। পরে সেটি মার্কেটিং বিভাগে জমা দিতে গেলে ঐ বিভাগের প্রশাসনিক কর্মকর্তা নীহার কান্তি বিশ্বাস শিক্ষার্থীদের সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করেন। এ সময় তার রুমে কম্পিউটারে উচ্চ আওয়াজে হিন্দি গান চলছিল। এরই মধ্যে তিনি স্থানীয় ক্ষমতার কথা বলে আমাকে ও আমার সাথে থাকা বন্ধুকে হুমকি দেন। পরে মার্কেটিং বিভাগের চেয়ারম্যান তাপস বালা আসলেও তিনি তার সামনেও আমাকে হুমকি দেন। এমতাবস্থায় আমি নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছি। যা আমার একাডেমিক পড়াশোনার ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে।
মার্কেটিং বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী নবী বলেন, নীহার কান্তি বিশ্বাসের নাম আমাদের বিভাগের প্রতিটি শিক্ষার্থীর কাছে এক বিরক্তির নাম। তিনি প্রতিটি শিক্ষার্থীর সাথে খারাপ ব্যবহার করেন। তিনি সবসময় স্থানীয় পাওয়ার দেখানোর চেষ্টা করেন। এবিষয়ে আমাদের শিক্ষকেরাও অবহিত।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত নীহার কান্তি বিশ্বাস বলেন, গণমাধ্যমে কোন মতামত আমি করতে চাই না আমার অফিসে আমি গান শুনি কি না শুনি এটা জবাবদিহিতা আমার কেন দেওয়া লাগবে? এ নিয়ে আমি রেজিস্ট্রারের সাথে বুঝব৷
মার্কেটিং বিভাগের চেয়ারম্যান তাপস বালা বলেন, আমাদের বিভাগের অফিস কর্মকর্তার বিষয়ে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ পত্র দিয়েছে এটা জানতে পেরেছি। সিসিটিভির ফুটেজ ও রেজিস্ট্রারের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে তার বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ মোরাদ হোসেন সাংবাদিকদের জানান, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের পক্ষে অভিযোগ পত্র জমা হয়েছে। এ ব্যাপারে উপাচার্য ড. একিউএম মাহবুবের সাথে আলোচনা করে পদক্ষেপ নেওয়া হবে ।