৩ দিনের রিমান্ডে ‘দৈনিক সংগ্রাম’ সম্পাদক

টুডে ডেস্ক Avatar

ক্যাটাগরি : ,

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্কঃ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ‘দৈনিক সংগ্রাম’ পত্রিকার সম্পাদক আবুল আসাদের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেন মহানগর হাকিম মো. মইনুল ইসলাম।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হাতিরঝিল থানার পরিদর্শক গোলাম আজম আবুল আসাদকে ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে আদালত শুনানি শেষে তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঘোলাটে করার জন্য এই ধরনের উসকানিমূলক সংবাদ পরিবেশন করেন এই আসামিসহ অন্যরা। সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য আসামিরা সর্বদা সচেষ্ট রয়েছেন। এই আসামিসহ অন্য আসামিরা রাষ্ট্রদ্রোহী সংঘবদ্ধচক্রের সহায়তায় এই ধরনের উসকানিমূলক তথ্য প্রচারসহ দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও সংবিধানকে অস্বীকার করেন। এ ঘটনার ইন্ধনদাতা এবং পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তার করার জন্য এই আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি।

এদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী এস এম কামাল উদ্দিন ও আব্দুর রাজ্জাক আদালতের কাছে দাবি করেন, মামলার এজাহারে আসামির বয়স ৭৮ বছর লেখা হলেও বয়স আরও বেশি। তিনি ক্যানসারে আক্রান্ত। দৈনিক সংগ্রামের অফিস ভাঙচুর করা হয়েছে।

একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া কাদের মোল্লাকে ‘শহীদ’উল্লেখ করে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে পত্রিকাটি। এর জেরে শুক্রবার রাতে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোহাম্মদ আফজাল বাদী হয়ে রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় একটি মামলা করেন। পরে শুক্রবার সন্ধ্যায় সংগ্রামের কার্যালয় থেকে সম্পাদক আবুল আসাদকে হাতিরঝিল থানা পুলিশ তাদের হেফাজতে নেয়। এরপর রাতে মামলা হলে ওই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

আবুল আসাদ ছাড়াও দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকার প্রধান প্রতিবেদক রুহুল আমিন গাজী, বার্তা সম্পাদক সাদাত হোসেনসহ অজ্ঞাত আরও সাত থেকে আটজন প্রতিবেদককে আসামি করা হয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২১, ৩১ ও ৩৫ ধারা এবং দণ্ডবিধির ১২৪-ক ধারায় এই মামলা করা হয়।

প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়- “আজ ১২ই ডিসেম্বর শহীদ কাদের মোল্লার ৬ষ্ঠ শাহাদাত বার্ষিকী। ২০১৩ সালের এই দিনে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকর করে সরকার। জাতিসংঘের মহাসচিব থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব, মানবাধিকার সংগঠনের অনুরোধ উপেক্ষা করেই ফাঁসি কার্যকর করা হয়।”

সংবাদটি শেয়ার করুন
fb-share-icon
Tweet