ঢাকা টুডে : তিন মাসে ২১৩ কোটিরও বেশি টাকা আমানতকারীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেওয়ায়
রিং আইডির পরিচালক মো. সাইফুল ইসলামকে আজ শনিবার দুপুর ১২টার দিকে গুলশান এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। তাঁর নামে ভাটারা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও মাল্টিলেভেল মার্কেটিং নিয়ন্ত্রণ আইনে দুটি মামলা রয়েছে বলে সিআইডি জানিয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলেছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সাইফুল জানান, আমানত নেওয়ার অনুমোদন তিনি বা তাঁর প্রতিষ্ঠান নেয়নি। রিং আইডির কার্যক্রমে আরও কারা জড়িত, আমানতকারীদের টাকা কোথায়, কীভাবে রাখা হয়েছে, সে সম্পর্কে খোঁজ নিতে সিআইডি পাঁচ দিনের রিমান্ড চাইবে।
আরো জানায়, গত ৩০ সেপ্টেম্বর ভাটারা থানায় সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে দুটি মামলা হয়। রিং আইডি প্রথমে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাধারণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। পরে তারা বিভিন্ন সেবার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমানতকারীদের থেকে বিনিয়োগ সংগ্রহ শুরু করে। তাদের প্রতিশ্রুত সেবার মধ্যে ছিল মূলত বৈদেশিক বিনিয়োগ ও কমিউনিটি জবস। করোনার সময়ও তারা অনুদান সংগ্রহ করে।
আগে থেকেই সাইবার পুলিশ সেন্টার নজরদারিতে রেখেছিল রিং আইডিকে। সন্দেহজনক কাজ দেখে সিআইডি পরে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফিন্যান্সিয়াল ইনটেলিজেন্স ইউনিটকে (বিএফআইইউ) রিং আইডির ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহের অনুরোধ জানায়। বিএফআইইউ তাদের অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু করেছে।
অন্যদিকে, নিজস্ব অনুসন্ধানে সাইবার পুলিশ সেন্টার জানতে পেরেছে, কমিউনিটি জবস খাতে উপার্জনের লোভ দেখিয়ে শুধু মে মাসে রিং আইডি ২৩ দশমিক ৯৪ কোটি টাকা, জুন মাসে ১০৯ দশমিক ৯৩ কোটি টাকা এবং জুলাই মাসে ৭৯ দশমিক ৩৮ কোটি টাকা সংগ্রহ করে। আইনি প্রক্রিয়া চলার সময় যেন তারা অবৈধভাবে অর্থ দেশের বাইরে পাচার করতে না পারে, সে জন্য ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ (ফ্রিজ) করার অনুরোধও জানানো হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংককে।
আরো পড়ুন :গুচ্ছ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা, প্রবেশপত্র ডাউনলোড করুন
লাভজনক বিবেচনায় এসব খাতে অনেকে বিনিয়োগও করেন। বিনিয়োগ করে ক্ষতির শিকার এমন এক ব্যক্তিই ভাটারা থানায় হাজির হয়ে ১০ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। এ মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ১০ থেকে ১৫ জনকে আসামি করা হয়। ঢাকার বাইরেও আরও বেশ কিছু জেলায় রিং আইডির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।