বুধবার, ২৯ মার্চ ২০২৩, ০৩:২৩ পূর্বাহ্ন

৬০০ বার ব্যর্থ হয়ে অবশেষে বিশ্বব্যাংকে চাকরি পেলেন তিনি

  • আপডেট টাইম বৃহস্পতিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১১.৪৮ এএম

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্কঃ এ যেন সিনেমার কাহিনীকে হার মানায়! বার বার ব্যর্থ হলেও হাল ছাড়েননি। বিশ্বাস করতেন ধৈর্য ধরলে সফলতা একদিন আসবেই। নিজের স্বপ্নের চাকরি পেতে চেষ্টা করে গেছেন ক্রমাগত। অবশেষে সেই চেষ্টার ফল হিসেবে বিশ্বব্যাংকে চাকরির সুযোগ পেলেন যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ২৩ বছর বয়সী ভাটসাল নাহাতা।

দিল্লির শ্রীরাম কলেজ অব কমার্স থেকে অর্থনীতি বিষয়ে স্নাতক সম্পন্ন করে যুক্তরাষ্ট্রের নামকরা ও প্রাচীন একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা শুরু করেন তিনি। সেখানে ২০২০ সালে স্নাতকের শেষ পর্যায়ে করোনা মহামারির সময় থেকে চাকরির জন্য চেষ্টা শুরু করেন নাহাতা। কিন্তু করোনা মহামারির কারণে কোথাও সুবিধা করতে পারছিলেন না।

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের পছন্দের চাকরি পাওয়ার অভিজ্ঞতা জানিয়েছেন ভারতের এই যুবক। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার প্রকাশিত পোস্টটি ব্যাপক সাড়া ফেলেছে নেটিজেনদের মধ্যে। তার এ পোস্টে ১৫ হাজারের বেশি মানুষ লাইক দিয়েছেন। এ ছাড়া তার পোস্টটি শতাধিক মানুষ শেয়ারও করেছেন।

নাহতা জানান, বিশ্বব্যাংকে চাকরি করার স্বপ্ন ছিল তার। স্বপ্নের চাকরির পেছনে তিনি দীর্ঘ সময় ধরে লেগে ছিলেন। এর জন্য তাকে ৬০০ মেইল আদান–প্রদান করতে হয়েছে। ৮০ বার কল করতে হয়েছে। তবু হাল ছাড়েননি তিনি। ক্রমাগত চেষ্টার পর গিয়ে স্বপ্নের চাকরি করার সুযোগ পেয়েছেন।

নাহাতা তার পোস্টে লিখেন, ওই (করোনা মহামারী) সময় অনেক প্রতিষ্ঠানে কর্মী ছাঁটাই শুরু হয়েছিল। দুই মাসের মধ্যে স্নাতক শেষ হচ্ছিল। হাতে কোনো কাজ ছিল না। আমি ইয়েলের শিক্ষার্থী হিসেবে ভাবলাম, যদি চাকরিই নিশ্চিত করতে না পারি, তবে ইয়েলে এসে কী লাভ? ওই সময় মা-বাবাও প্রশ্ন করতে শুরু করেছিল।

নাহাতা বলেন, ভারতে ফিরে যাওয়ার বিষয়ে ভাবিনি। আমি ভেবেছিলাম, প্রথম বেতন হবে ডলারে। এ জন্য আমি নেটওয়ার্কিং বা সবার সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করি। এ সময় কোনো পোর্টালে বা চাকরির দরখাস্ত করা থেকে দূরে থাকি। দুই মাসে ১৫ হাজার জনের সঙ্গে যুক্ত হই। ৬০০ ই–মেইল লিখি। ৮০ জন যোগাযোগ করে। বেশির ভাগ জায়গা থেকে প্রত্যাখ্যাত হই।

নাহাতা আরও লিখেন, আমি এত বেশিজনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি যে আমার কৌশল কাজে লেগেছে। আমি মে মাসের শুরুতে চারটি চাকরির প্রস্তাব পাই। এ সময় বিশ্বব্যাংককে বেছে নিই। তারা আমার ভিসা স্পনসর করতে সম্মত হয়। এ ছাড়া আমার ব্যবস্থাপক আমাকে মেশিন লার্নিংয়ের ওপর একটি গবেষণা প্রবন্ধে সহলেখক হওয়ার সুযোগ দেন।

নাহতা বলেন, কঠিন সময় তাকে কিছু জিনিস শিখিয়েছে। এর একটি হচ্ছে নেটওয়ার্কিংয়ের শক্তি।

The Campus Today YouTube Channel

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
themesbazar_creativenews_II7
All rights reserved © 2019-20 The Campus Today