অধ্যক্ষ-উপাধ্যক্ষের শূন্য পদের তথ্য চেয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক

দেশের সরকারি কলেজগুলোর মধ্যে যেগুলোতে অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ নেই সেই তালিকা চেয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।

জরুরি ভিত্তিতে এই তালিকা ৫ অক্টোবরের মধ্যে দেওয়ার জন্য মাউশির নয়জন আঞ্চলিক পরিচালককে নির্দেশ দিয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার আঞ্চলিক পরিচালকদের কাছে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠিয়েছে মাউশি। শূন্য পদগুলোতে নিয়োগ দেওয়ার জন্য এই তালিকা সংগ্রহ করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।

বেশ কিছুদিন ধরেই অনেক সরকারি কলেজে অধ্যক্ষ নেই। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দিয়ে চালানো হচ্ছে সকল কাজ। নিয়মিত অধ্যক্ষ না থাকায় শিক্ষা ও প্রশাসনিক নানা কাজ বিঘ্নিত হচ্ছে। বড় কোনো জরুরি সিদ্ধান্ত নেওয়া যাচ্ছে না। প্রতিষ্ঠানগুলো পড়েছে নেতৃত্বের সংকটে। কোনো রকমে দৈনন্দিন কাজ চলছে। কিছুদিন আগেও নতুন ও পুরোনো মিলিয়ে দেশের ১৪১টি সরকারি কলেজে অধ্যক্ষের পদ ফাঁকা ছিল।

দেশে সরকারি কলেজের সংখ্যা ৬৩২। শতকরা হিসাবে, শূন্য থাকার এই হার ২২ শতাংশের কিছু বেশি । শুধু অধ্যক্ষ নয়, তখন ২৮টি কলেজে উপাধ্যক্ষ পদও শূন্য ছিল। শুধু অধ্যক্ষ-উপাধ্যক্ষ নয়, যারা শিক্ষার্থীদের পাঠদান করান, সেই শিক্ষকের পদ ফাঁকা ২ হাজার ৮৭৮টি, যা মোট পদের ১৮ শতাংশ। বড় শহরের বড় কয়েকটি কলেজ ছাড়া বেশির ভাগ সরকারি কলেজেই শিক্ষকসংকট রয়েছে।

অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ পদে নিয়োগ দেওয়ার মতো শিক্ষকের কোনো অভাব নেই। সাধারণত অধ্যাপকদের অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। দেশের সরকারি কলেজে প্রায় সাড়ে তিন শ অধ্যাপক রয়েছেন। আর সহযোগী অধ্যাপক রয়েছেন ২ হাজারের মতো। তাঁদের মধ্য থেকেও ছোট কলেজে অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ পদে নিয়োগ দেওয়া যায়।

সরকারি কলেজে অধ্যক্ষ নিয়োগের দায়িত্ব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের। অভিযোগ রয়েছে, মন্ত্রণালয় যথাসময়ে পদক্ষেপ না নেওয়ায় বর্তমান পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ পদে নিয়োগ পেতে ইতিমধ্যে অনেক শিক্ষক মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছেন। কিন্তু কলেজগুলোর শীর্ষ এই দুই পদে নিয়োগ এখনো আটকে আছে।

অবশ্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন কয়েক দিন আগে বলেছিলেন, এই নিয়োগ দেওয়ার জন্য তাঁরা কাজ করছেন। আবেদন পাওয়ার পর এখন যাচাই বাছাই হচ্ছে।

অক্টোবরের মধ্যেই এসব শূন্য পদে নিয়োগ দেওয়া সম্পন্ন হবে। একই সঙ্গে বাছাই করা শিক্ষকদের প্যানেল করা থাকবে, কোথাও অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষের পদ শূন্য হলে সঙ্গে সঙ্গে এই প্যানেল থেকে নিয়োগ দেওয়া হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ

Leave a Comment