অন্ধকে পথ দেখাবে গবি ছাত্র তন্ময়ের ‘ব্লাইন্ড স্টিক’

সুপর্না রহমান, গবি প্রতিনিধি


অন্ধ ব্যক্তির চলাফেরায় সুবিধা, হারিয়ে গেলে অবস্থান নির্ণয়ের জিপিএস, পালস রেট মাপা ও যেকোনো বিপদে কল বা বার্তা সহ আধুনিক সব ফিচার নিয়ে ব্লাইন্ড স্টিক উদ্ভাবন করেছেন সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের (গবি) মেডিকেল ফিজিক্স এন্ড বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী তন্ময় রায়।

চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি কাজ শুরু হয়। প্রায় সাত মাসের প্রচেষ্টায় ডিভাইসটি তৈরীতে প্রায় ১৭ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে।

সোমবার (১৭ আগস্ট) অত্যাধুনিক এই ডিভাইস উদ্ভাবনের বিষয় নিশ্চিত করেন। বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন করা হলে এক থেকে দেড় হাজার টাকার মধ্যে সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছানো যাবে।

পুরো কাজটি সম্পন্ন করতে সহায়তা করেছেন উক্ত বিভাগের সাবেক প্রধান ও প্রজেক্টের সুপারভাইজার ড. গোলাম আবু জাকারিয়া, বর্তমান বিভাগীয় প্রধান ড. হাসিন অনুপমা আজহারী, কো-সুপারভাইজার নাজমুল আলীম।

এছাড়া এ কাজে সাহায্য করেছেন তাঁর সহপাঠী মাহবুব আল মামুন ও উজ্জ্বল সরকার নামক একজন পরামর্শক।

নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করে তন্ময় বলেন, ‘অন্ধ ব্যক্তির জন্য কিছু করতে পেরেছি বলে আমি অত্যন্ত খুশি। অন্ধ ব্যক্তিরা সমাজের বোঝা না। তাদেরও ভালোভাবে বেঁচে থাকার অধিকার আছে। এই ডিভাইসটি সেক্ষেত্রে কিছুটা হলেও আলোর পথ দেখাবে।’

এ বিষয়ে ড. আজাহারী বলেন, ‘আমাদের এই সেক্টরে কাজটাই হলো সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তির ব্যবহারের মধ্য দিয়ে মানব সমাজের জীবন সহজ করা। আমরাও এই প্রযুক্তির সাহায্য দ্বারা নতুন নতুন কিছু তৈরী করতে শিক্ষার্থীদের সবসময় উৎসাহিত করি এবং সাপোর্ট দিই। এই ব্লাইন্ড স্টিক তারই ফসল। তন্ময়কে আন্তরিক অভিনন্দন। এভাবেই আমাদের শিক্ষার্থীরা অনেক দূর এগিয়ে যাবে।

সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (চলতি দায়িত্ব) অধ্যাপক ডা: দেলওয়ার হোসেন বলেন, ‘নিঃসন্দেহে এটা একটি প্রশংসনীয় কাজ। যেকোনো কিছু তৈরী সহজ বিষয় নয়। এরকম একটা ডিভাইস আমাদের শিক্ষার্থীরা তৈরী করতে পেরেছে যা অত্যন্ত গর্বের বিষয়। যেসব প্রফেসর ও শিক্ষার্থী এটার কাজে ছিলেন, সবাইকে আমার তরফ থেকে অভিনন্দন।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *