লেট নাইট থাকায় পৌনে দুটায় অফিস থেকে বের হয়েছি। অফিসের নিচে নামতেই চা খেতে ইচ্ছে হলো। এই মধ্যে রাতে আশেপাশে চায়ের দোকান খোলা না থাকায় হাতিরপুল গেলাম। রাস্তাটা একদম নিরব। হাতেগোনা কয়েকজন শ্রমিক আর পুলিশ ছাড়া কেউ নেই।
সেই বিকেল থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি পড়ছে। তখন পড়ছিলো। চায়ের নেশায় বৃষ্টি মাথায় হাতিরপুল গেলাম। হাতিরপুল পৌছাতেই বৃষ্টি বাড়লো। তখনো একটি দোকান খোলা। দোকানিকে বললাম দুধ চিনি বেশি দিয়ে চা দিতে। একটু একটু করে বৃষ্টি বাড়ছে। একটু পর ঝুম বৃষ্টি শুরু হলো। ঘোর বর্ষার রাত। চায়ে চুমুক দিতে দিতে ফেসবুকে ঢুঁ মারি। দেখি বৃষ্টি নিয়ে অনেকের কবিতা, সৃতি টাইমলাইন ভরে আছে।
ফেসবুক থেকে বের হবো, হঠাৎ একটা ম্যাসেজ আসে । কি করেন? আমি হাসির ইমোজি দিয়ে বলি বৃষ্টি দেখি। সে বলে আমাকে দেখার কি আছে? ততক্ষণে খেয়াল হলো যে আমাকে ম্যাসেজ দিয়েছে তার নাম বৃষ্টি।
কার্তিকের বৃষ্টির সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের কথাও এগোয়। যেন কথার ফুলঝুড়ি নিয়ে বসেছি দুজনেই। মৃদু বাতাস, টুপটাপ টুপটাপ বৃষ্টি, আমাদের কথার পিঠে কথা। হুট করে দমকা হাওয়া ভিজিয়ে দেয় আমাদের। বৃষ্টি আমার হাত ধরে বলে চলেন ভিজি । দুজনেই বৃষ্টিতে ভিজে যাই। বৃষ্টি ভিজছে আর খিল খিল করে হাসছে। আমি অবাক হয়ে তার হাসি দেখছি।
এমন সময় একটি হাত স্পর্শ করে আমার কাধ। আমি হতচকিত হয়ে তার দিকে তাকাই। দেখি চায়ের দোকানি। লোকটি একটু ধমকের সুরেই বললেন, বৃষ্টি থামছে বাড়ি যান। হঠাৎ ফোনের কথা মনে হলো। পকেট থেকে ফোন বের করে দেখি ওটা অনেক আগেই চার্জ শেষ হয়ে বন্ধে হয়ে গিয়েছিলো।
রোমান্টিক ভালোবাসার গল্পটি লিখেছেন রিয়াজ হোসেন ।