অশ্লীল ইঙ্গিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে যৌন হয়রানি

অশ্লীল ইঙ্গিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে যৌন হয়রানি

চবি প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পসের মধ্যেই যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন এক ছাত্রী।বাজার থেকে ফেরার পথে অশ্লীল কথা ও ইঙ্গিতের মাধ্যমে আদিবাসী ওই ছাত্রীকে হয়রানি করা হয়।

মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যার দিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই নম্বর গেইট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

যৌন হয়রানির শিকার বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ১৭-১৮শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী। তিনি তার ফেইসবুক পোস্টে এঘটনা নিয়ে একটি পোস্ট দিয়েছেন।

ফেইসবুক পোস্টে তিনি লিখছেন, সামনে পরীক্ষা, অথচ হল অফ, তাই বাসা নিয়ে থাকতে হচ্ছে আবার দুই নাম্বার গেইটে। আজ মঙ্গলবার, তাই সন্ধ্যা সাতটায় বাজারে গেছি আমি। ঠিকঠাক বাজার করে চলেও আসছিলাম। খালি রিচার্জ করাটা বাকি! হেঁটে আসছি রাস্তা দিয়ে, বাসার পাশের দোকানটায় রিচার্জ করবো ভেবে এগুচ্ছি। এমন সময় বাসার সামনের রাস্তায় একটা সাইকেল ঠিক আমার সামনে থামলো। কানের পাশে এসে ফিসফিস করে বললো, “আআর লগে গরিত ফারিবি নি?” সোজা বাংলায় যার মানে দাড়ায়, “আমার সাথে সেক্স করতে পারবা?”

তিনি বলেন, আমি তৎক্ষণাৎ রিয়েকশন দেখাই নাই। কান গরম হয়ে গেছে, মনে হচ্ছে ধোঁয়া বের হচ্ছে। বুঝতে পারছিলাম না কি করা উচিত! আমি চুপচাপ গেলাম দোকানে, রিচার্জ নাই। তো ফেরত আসছি, বাসায় ঢুকবো ভেবে, দেখি সে এখনো আমার জন্য দাঁড়িয়ে রাস্তায়! আমার দিকে তাকাচ্ছে, অপেক্ষা করছে। আমি তখন ভিতরে ভিতরে আগুন, অসম্ভব গা জ্বলছে, মনে মনে ভাবছি কি করা যায়! ফোনটা বের করলাম, লাইট অন করলাম, সামনে গেলাম, বললাম, “এদিকে তাকান তো আপনার একটা ছবি তুলি! আপনার চেহারাটা মানুষের দেখা দরকার। একটু আগে কি বলছেন আমাকে? আআর লগে গরিত ফারিবি নি! দাড়ান আপনার ছবি তুলি!” আমার গলার স্বর এমনেও বড়, আরো বড় হয়ে গেছে ততক্ষনে!সে বললো, “আপনি কে? কি যা তা বলছেন? আমি কি বলছি! আমি কিছুই বলি নাই! আপনি চলে যান” একদম ইনোসেন্ট টাইপ ভাব ফেইসে! ’’

আক্ষেপের সুরে তিনি লিখেছেন, আজকাল আমি কোনো কিছু নিয়ে তেমন একটা রিয়্যাক্ট করি না। লম্বা লম্বা বিশ্লেষণ টাইপের পোস্ট দেওয়ার মতো ও শক্তি পাই না। কেমন গা সওয়া হয়ে গেছে সব।

এই ছাত্রীর অভিযোগ, আদাবাসী হওয়ার কারণে প্রায় সময় তাদের যৌন হেনস্তার শিকার হতে হয়।ক্যাম্পাসে চলাফেরার সময় নানা ভবেই টিজ হতে হয়।

এবিষয়ে চবি প্রক্টর ড.রবিউল হাসান ভূঁইয়া বলেন, “অভিযোগটি আজ সকালে পেয়েছি।এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশ দিয়েছি।বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে যেখানে লাইট,সি.সি ক্যামেরা নেই সেখানকার মেম্বারকে বলেছি সেগুলাও লাগিয়ে দেওয়ার জন্য।তিনি আমাকে আশ্বস্ত করেছেন।আমরা ইভটিজিং এর ব্যাপারে জিরো টলারেন্স।কারো অভিযোগ থাকলে সেটা যেন আগে আমাদের জানানো হয়।’’

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ

Leave a Comment