অনার্স পরীক্ষা সম্পন্ন না করে মাস্টার্সের রুটিন, ভাগ্য ঝুলছে ৩৬ শিক্ষার্থীর

চবি প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ও গবেষণা ইনিস্টিটিউটের (আই.ই.আর) ২০১৩-১৪ শিক্ষার্ষের অনার্স প্রথম বর্ষের ‘বিশেষ পরীক্ষা’ তিন বছরেও নিতে পারেনি আইইআর কর্তৃপক্ষ। এরই মধ্যে উক্ত শিক্ষা বর্ষের মাস্টার্সের রুটিন প্রকাশ করায় বিপদে পড়েছেন ৩৬ শিক্ষার্থী। অনার্সের ফলাফল আটকে থাকায় মাস্টার্সে অংশ নিতে পারছেন না ইনস্টিটিউটের ৩৬ শিক্ষার্থী।

জানা যায়, ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ২০১৪ সালে। এতে এক বা একাধিক কোর্সে কিছু শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়। পরবর্তী বছরেও পরীক্ষা নেওয়া হলে তারা আবার অকৃতকার্য হন। পরে অকৃতকার্য শিক্ষার্থী এবং মানন্নোয়ন থাকা মোট ৩৬ শিক্ষার্থীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৮ সালে অকৃতকার্য হওয়া কোর্সগুলোর ‘বিশেষ পরীক্ষা’ নিতে সম্মত হয়ে পরীক্ষার রুটিন দেয় ইনস্টিটিউট।

কিন্তু তিনটি পরীক্ষা বাকি থাকতেই যখন বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট ইনস্টিটিউটটির বেশ কিছু শিক্ষককে তাদের পূর্বের কর্মস্থল চবি ল্যাবরেটরি কলেজে যোগ দিতে বলে তখনই শুরু হয় সমস্যা। এই শিক্ষকদের নিয়ে গঠিত পরীক্ষা কমিটিই নিয়ন্ত্রণ করছিল ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষের বিশেষ পরীক্ষা। ফলে তাদের তিনটি পরীক্ষা অসমাপ্ত রেখেই চলে যান তারা।পরীক্ষা অসমাপ্ত থাকায় ফলাফলও তাই প্রকাশ হয়নি।

শিক্ষার্থীদের দাবি, তারা এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষকে বেশ কয়কেবার অনুরোধ করেছেন।কিন্তু তাদের এই সমস্যার সুরহা না করেই মাস্টার্সের রুটিন দেওয়া হয়েছে। অনার্সের রেজাল্ট না পাওয়ায় তারা মাস্টার্সের পরীক্ষায় অংশ নিতে পারছেন না।

এ বিষয়ে শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ বশির আহাম্মদ গণমাধ্যমকে বলেন, অনার্স শেষ হওয়ার পরেই মাস্টার্সের পরীক্ষা। তারা এখনও অনার্স পাশ করেনি। এটা একটা প্রক্রিয়ার বিষয়। আমরা তাদের বিষয়ে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রককে চিঠি দিয়েছি অনেক আগেই। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক যে সিদ্ধান্ত দেয় সেটাই হবে। এখন প্রায় ১০০ জন নিয়মিত শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা আগামী ৯ তারিখে নেয়া হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়টির ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক চৌধুরী আমীর মোহাম্মদ মুছা বলেন, আগামী রোববার উপাচার্য, প্রক্টর, ইনস্টিটিউট পরিচালকের সাথে বসে আমরা শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেব।

Scroll to Top