আন্তর্জাতিক ‘প্যান্ডেমিক ২.০’ প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন ববি শিক্ষার্থীর দল ‘হ্যানম’

আন্তর্জাতিক 'প্যান্ডেমিক ২.০' প্রতিযোগিতায় চাম্পিয়ান ববি শিক্ষার্থীর দল 'হ্যানম'

নীতিমালা প্রণয়ন বিষয়ক আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা ‘ন্যাসপা ব্যাটেন স্টুডেন্ট সিমুলেশন কম্পিটিশন’ এ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী মো. মোয়াজ্জেম হোসেনের দল ‘হ্যানম’।

বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগ থেকে মনোনীত প্রায় ৪০০ শিক্ষার্থীকে নিয়ে শুরুতে দুটি আঞ্চলিক পর্ব অনুষ্ঠিত হয় যার আঞ্চলিক পর্ব দুটি অনুষ্ঠিত হয় গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ও ৬ মার্চ। ১৬ এপ্রিল চূড়ান্ত পর্বে (গ্লোবাল অলস্টার রাউন্ড) চার দল অংশ নেয়। পুরো প্রতিযোগিতার জন্য পুরস্কার (প্রাইজ পুল) হিসেবে বরাদ্দ ছিল প্রায় ১৫০০০ মার্কিন ডলার।

‘প্যান্ডেমিক ২.০’ নামের এই প্রতিযোগিতায় পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট চ্যাম্পিয়ন দল ‘হ্যানম’র অন্য সদস্যদের মধ্যে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের স্নাতকোত্তরের ছাত্র ফারাবি রহমান, চীনের সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পুই কেই সে, গুয়ামের (যুক্তরাষ্ট্রের অধীন) ইউনিভার্সিটি অব গুয়ামের রিনি কারপেলা এবং নিউজিল্যান্ডের ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি অব ওয়েলিংটনের হুগো থম্পসন।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ৮২ বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থীরা এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। করোনা মহামারির কারণে এ বছর প্রতিযোগিতাটি ভার্চ্যুয়ালি আয়োজন করা হয়েছিল।

প্রতিযোগিতা সম্পর্কে মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘এখানে প্রতিটি দল তার সদস্যদের নিয়ে ৫ সদস্যের একটি কেবিনেট গঠন করে, যারা একটি কাল্পনিক রাষ্ট্রের প্রতিনিধিত্ব করেন। ধরে নিতে হয়, রাষ্ট্রটি সম্প্রতি একটি মহামারিতে আক্রান্ত হয়েছে। যুগপৎ মহামারি নিয়ন্ত্রণ ও অর্থনীতি সচল রাখার কৌশল নিয়ে এই সিমুলেশন প্রতিযোগিতা। যেমন মহামারি নিয়ন্ত্রণ করতে কেবিনেট চাইলে অনির্দিষ্টকালের জন্য ‘স্টে অ্যাট হোম অর্ডার’ জারি করে মানুষকে ব্যাপক হারে সংক্রমণ ও মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচিয়ে মহামারি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।

অন্যদিকে, অনির্দিষ্টকালের এ অর্ডার দেশের অর্থনীতিতে ধ্বস নামিয়ে মানুষকে ব্যাপক খাদ্যসংকট ও ভয়াবহ সামাজিক বিশৃঙ্খলার মুখোমুখি করতে পারে। এই উভয়সংকট নিরসনে যে দলটি একটি ভারসাম্যপূর্ণ নীতিমালা প্রণয়ন করতে সক্ষম হয়েছে, তারাই বেশি স্কোর করতে পেরেছে। ’

দলগুলোর প্রতিটি সিদ্ধান্তের জন্য নম্বর ছিল। নীতিমালা প্রণয়ন শেষে বিচারকেরা প্রশ্ন করেছেন, দলের সদস্যরাও তাদের যুক্তি উপস্থাপন করেছেন।

মোয়াজ্জেম জানান, ‘সিমুলেশন থেকে যে অভিজ্ঞতা অর্জন করলাম, আগামী দিনে সরকারি সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় সংযুক্ত হওয়ার সুযোগ পেলে সেখানে অবদান রাখার চেষ্টা করব। ’

উল্লেখ্য ‘ন্যাসপা ব্যাটেন স্টুডেন্ট সিমুলেশন কম্পিটিশন’ নীতিমালা প্রণয়ন বিষয়ক সিমুলেশন প্রতিযোগিতা। যা আয়োজন করে ওয়াশিংটনভিত্তিক অলাভজনক আন্তর্জাতিক সংগঠন ন্যাসপা (নেটওয়ার্ক অব স্কুল অব পাবলিক পলিসি, অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন)।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ

Leave a Comment