আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস রচনা ১৫ ২০ ২৫ পয়েন্ট SSC HSC

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস রচনা ১৫ ২০ ২৫ পয়েন্ট SSC HSC – আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস রচনাটি সহজ ও সাবলীল ভাষায় লেখা হয়েছে। যেন, একবার পড়লেই মুখস্থ হয়ে যায়। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস এর জায়গায় যদি আসে আদর্শ বিদ্যালয় তাহলেও রচনাটি লিখতে পারেন। Mukti judder itihas essay is written for class- 3, 4, 5, 6, 7, 8, 9, 10 –  আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস রচনা ১৫ ২০ ২৫ পয়েন্ট SSC HSC

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস

ভাষা মানুষের পরিচয়। মায়ের মুখের ভাষা আমাদের প্রথম ভাষা। ভাষার জন্য ভালোবাসা থেকেই জন্ম নিয়েছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। প্রতি বছর ২১শে ফেব্রুয়ারি এই দিবসটি পালিত হয়।

ভাষা আন্দোলনের সূচনা

১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি তারিখে পূর্ব বাংলায় (বর্তমান বাংলাদেশ) বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে আন্দোলনরত ছাত্রদের ওপর পুলিশের গুলিবর্ষণে কয়েকজন শহীদ হন। এই ঘটনাটি ভাষা আন্দোলনের জন্ম দেয়।

আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি

ভাষা আন্দোলনের শহীদদের আত্মত্যাগের স্বীকৃতিস্বরূপ, ১৯৯৯ সালে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা (UNESCO) ২১শে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে।

দিবসটির তাৎপর্য

এই দিবসটি বিশ্বের সকল ভাষা ও সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর প্রতীক। এটি মনে করিয়ে দেয় যে প্রতিটি ভাষারই নিজস্ব মূল্য আছে এবং তা সংরক্ষণ করা জরুরি। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ভাষাগত বৈচিত্র্য রক্ষা এবং বহুভাষাবাদকে উৎসাহিত করার জন্য পালিত হয়।

যেভাবে দিবসটি পালিত হয়

এই দিনটিতে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে আলোচনা সভা, সেমিনার ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে শহীদ মিনারে ফুল দেওয়া হয়।

উপসংহার

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। এটি আমাদের ভাষা ও সংস্কৃতির মূল্য বুঝতে সাহায্য করে এবং অন্য ভাষা ও সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে উৎসাহিত করে। এই দিবসটি ভাষা আন্দোলনের শহীদদের আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করিয়ে দেয় এবং মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষার জন্য আমাদের অঙ্গীকারবদ্ধ করে।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা

মুক্তিযুদ্ধ আমাদের জাতীয় জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাগুলোর মধ্যে একটি। এটি ছিল আমাদের স্বাধীনতা অর্জনের সংগ্রাম। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মানে হলো সেই আদর্শ ও মূল্যবোধগুলো, যা আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রাণিত করেছিল।

চেতনার মূল বিষয়

  • দেশপ্রেম: নিজের দেশের প্রতি গভীর ভালোবাসা ও আনুগত্য।
  • স্বাধীনতা: পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্তি পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা।
  • গণতন্ত্র: জনগণের অধিকার ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার প্রতি শ্রদ্ধা।
  • ন্যায়বিচার: সমাজের সকলের জন্য সমান সুযোগ ও সুবিচার।
  • অসাম্প্রদায়িকতা: ধর্ম, বর্ণ, জাতি নির্বিশেষে সকলের সমান অধিকার।

মুক্তিযুদ্ধের প্রভাব

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আমাদের জাতীয় জীবনে গভীরভাবে প্রোথিত। এটি আমাদের জাতীয় ঐক্য ও সংহতি বজায় রাখতে সাহায্য করে। এই চেতনা আমাদের দেশের উন্নয়নে কাজ করতে অনুপ্রাণিত করে।

আজকের দিনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা

আজও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আমাদের পথ দেখায়। এটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে দেশের জন্য আত্মত্যাগ ও সংগ্রাম বৃথা যায় না। এই চেতনা আমাদের একটি সুন্দর ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে উৎসাহিত করে।

উপসংহার

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আমাদের জাতীয়identity। এটি আমাদের গর্ব ও অহংকারের প্রতীক। এই চেতনাকে ধারণ করে আমরা একটি শক্তিশালী ও প্রগতিশীল জাতি হিসেবে বিশ্ব দরবারে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করতে পারি। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস রচনা ১৫ ২০ ২৫ পয়েন্ট SSC HSC

Scroll to Top