আন্দোলনে অচল বশেমুরবিপ্রবি

বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি


বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) ভর্তি বন্ধের নির্দেশনা প্রত্যাখ্যান করে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) ইতিহাস বিভাগ অনুমোদনের দাবিতে চলমান আন্দোলনে অচল হয়ে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টি।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও একাডেমিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেয়ায় অচলাবস্থা বিরাজ করছে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে রবিবার থেকে কোন ধরনের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়নি। অন্যান্য বিভাগের শিক্ষার্থীরা একাত্মতা প্রকাশ করে ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থীদের সাথে আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছে।

সোমবার পঞ্চম দিনের মতো বিভাগ অনুমোদনের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। তাঁরা সকাল ৯টা থেকে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছেন। এসময় বিভিন্ন স্লোগানে স্লোগানে মুখর করে তোলেন ক্যাম্পাস। দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

এদিন দুপুর ১২টায় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন দাবি সম্বলিত একটি প্লাকার্ড মিছিল বের করে। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে আন্দোলনস্থলে গিয়ে শেষ হয়।

আন্দোলনরত ইতিহাস বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আফতাব জানান, অনুমোদন ব্যতীত বিভাগ চালু করা প্রশাসনের অপরাধ। প্রশাসনের অপরাধের জন্য আমরা কেন ক্ষতিগ্রস্ত হবো? এদিকে ইতিহাস বিভাগের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ইতিহাস ব্যতীত অন্যান্য প্রায় সকল বিভাগের শিক্ষার্থীরাও একাত্মতা পোষণ করেছে। ইউজিসি ইতিহাস বিভাগকে অনুমোদন না দেয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শাহজাহান বলেন, ‘ইতিহাস বিভাগের ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ জন্য একাডেমিক কাউন্সিলের সভা প্রয়োজন। কিন্তু একাডেমিক কাউন্সিল আহ্বান আমার ক্ষমতার বাইরে।’

প্রসঙ্গত, ইউজিসির কোনো অনুমোদন ছাড়াই ২০১৭ সালে বঙ্গবন্ধু ইনস্টিটিউট অব লিবারেশন ওয়ার অ্যান্ড বাংলাদেশ স্টাডিজ (বিলওয়াবস) ইনস্টিটিউটের অধীনে ইতিহাস বিভাগ চালু করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিন। তিন বছর পরে গত ৬ ফেব্রুয়ারি ইউজিসির এক সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয়টিতে আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে ইতিহাস বিভাগে আর কোন শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে না। ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থীরা এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে ওইদিন রাত থেকেই প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। বর্তমানে এ বিভাগটিতে চারশতাধিক শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত।

 

Scroll to Top