আন্দোলন অব্যাহত, বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কার্যক্রম সচলের দাবিতে মানববন্ধন

বশেমুরবিপ্রবি টুডে


গোপালগঞ্জ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) ইতিহাস বিভাগের অনুমোদন দাবিতে আন্দোলনের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক-প্রশাসনিক কার্যক্রম অবিলম্বে সচল করার দাবিতে মানববন্ধন করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

১৭ ফেব্রুয়ারি, সোমবার সকাল ১০টায় জয় বাংলা চত্বরে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন চলে। এ সময় শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় সকল কার্যক্রম সচল রাখার দাবি জানান।

এ সময় মানববন্ধনকারী ছাত্র-ছাত্রীরা জানান, ইতিহাস বিভাগের আন্দোলনের পক্ষে তাদের সমর্থন রয়েছে। তবে এভাবে ক্যাম্পাসে অচলাবস্থা সৃষ্টি কাম্য না। বিশ্ববিদ্যালয় অচল বিরাজমান থাকায় অনেক শিক্ষার্থী ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। এছাড়া শিক্ষার্থীর দীর্ঘদিন যাবৎ ক্লাস-পরীক্ষা না হওয়ায় তারা সেশনজটে পড়ার আশঙ্কায় ভুগছে।

এদিন অন্যদিকে, ইতিহাস বিভাগের অনুমোদনের দাবিতে টানা ১২ দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছে বিভাগটির শিক্ষার্থীরা। বিভাগ অনুমোদনের দাবিতে বেলা ১১টায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভ মিছিলটি প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়।

আন্দোলনের প্রথম দিন থেকেই একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবনের তালা ঝুলিয়ে দেয় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, আন্দোলনের শুরু থেকেই অগ্রণী ব্যাংক বিশ্ববিদ্যালয় শাখার কার্যক্রম বন্ধ আছে। শাখা ব্যবস্থাপক মো:শিমুল মোল্লা জানিয়েছেন “আন্দোলনের কারণে ব্যাংকের আর্থিক লেনদেন সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে ।এতে আর্থিক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সরকারী এই ব্যাংক প্রতিষ্ঠানটি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের চলতি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শাহজাহান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ইতিহাস বিভাগের অনুমোদনের ব্যাপারে আন্তরিক। আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি ইউজিসির অনুষ্ঠিত সভায় বিভাগ অনুমোদনের বিষয়টি উত্থাপন করা হবে।

প্রসঙ্গত, গত ৬ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে (ইউজিসি) অনুষ্ঠিত এক সভায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস বিভাগের অনুমোদন না দিয়ে আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি না করার নির্দেশ দেওয়ায় বিভাগটির শিক্ষার্থীরা । ওই দিন রাত থেকেই ইতিহাস বিভাগের অনুমোদনের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *