আবারও পিছিয়ে যেতে পারে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা

আবারও পিছিয়ে যেতে পারে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা

দ্যা ক্যাম্পাস টুডেঃ চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা কীভাবে হবে, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা বাড়ছে।গত বছরের মতো এবার ও পরীক্ষার্থীরা অটোপাসের দাবি তুলেছেন। তবে এবার অটোপাস দেওয়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

জুন-জুলাইয়ে পরীক্ষা নেওয়ার পরিকল্পনা থাকলেও করোনার প্রকোপে তা এক-দুমাস পিছিয়ে যেতে পারে। কীভাবে পরীক্ষা নেওয়া হবে সে বিষয়ে কাজ করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগ।

গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ আছে সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এরপর পার হয়েছে প্রায় ১৪ মাস। করোনা পরিস্থিতির কারণে গত বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অটোপাস দেওয়া হয়। তবে চলতি বছরের এসএসসি-এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

এ প্রসঙ্গে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নেহাল আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এসএসসি-এইচএসসির জন্য সিলেবাস সংক্ষিপ্ত করে দিয়েছি আমরা। জুন-জুলাইয়ে এসএসসি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত ছিল। তবে সেটি হয়তো দু-এক মাস পিছিয়ে যেতে পারে। কিন্তু পরীক্ষা হবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘গতবার এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের যেভাবে পাস করানো হয়েছে, তাকে অটোপাস বলা অন্যায়। কারণ তারা পরীক্ষার সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েছিল। তবে এবারের এসএসসি কিংবা এইচএসসির বিষয়টি ভিন্ন। তারা ক্লাসে যেতে পারেনি। এজন্য সংক্ষিপ্ত সিলেবাস হলেও এবার তাদের পরীক্ষায় বসতেই হবে।’

এর আগে ৬০ দিন ক্লাস শেষে এসএসসি এবং ৮০ দিন ক্লাস করিয়ে এইচএসসি নেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কিন্তু করোনার কারণে সে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন সম্ভব হয় নি। এ পরিস্থিতিতে এসএসএসি পরীক্ষার্থীদের একাংশ অটোপাসের দাবি তুলেছেন। তারা যুক্তি দেখিয়েছে করোনার কারণে ১৪ মাস স্কুল বন্ধ থাকায় তারা পড়ালেখা করতে পারেনি। তাই সিলেবাস সংক্ষিপ্ত করলেও শেষ করা যাবে না।

তবে সরকারের দায়িত্বশীলরা বলছেন, যারা অটোপাস পেয়েছে, তারা প্রস্তুতি নিতে পেরেছিল। সব ক্লাস করেছিল। টেস্ট পরীক্ষাও দিতে পেরেছিল তারা। কিন্তু এ বছর পরীক্ষার্থীরা কোনো ক্লাস করতে পারেনি। সে জন্য অটোপাস তাদেরই ক্ষতির কারণ হবে। তাই শিক্ষার্থীদের স্বার্থেই চলতি বছর অটোপাস দেওয়া হবে না।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ গোলাম ফারুক এ প্রসঙ্গে গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘পরীক্ষা নেওয়া না নেওয়া করোনা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে। তবে এ বছর অটোপাস দেওয়া হবে না। শিক্ষার্থীরা কোনো ক্লাস করতে পারেনি। এবার পরীক্ষা তাদের দিতেই হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ

Leave a Comment