ইভ্যালিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ, ব্যবসাপদ্ধতি চায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়

ইভ্যালিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ, ব্যবসাপদ্ধতি চায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্কঃ তুমুল আলোচনায় থাকা ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ইভ্যালিকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ইভ্যালির বিরুদ্ধে কেন আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে প্রতিষ্ঠানটিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। কোম্পানিটির ব্যবসা পদ্ধতিও জানতে চাওয়া হয়েছে।

সোমবার (১৯ জুলাই) ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ রাসেলের কাছে এ বিষয়ে চিঠি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। আগামী ১ আগস্টের মধ্যে নোটিশে উল্লেখিত বিষয়ের ব্যাখ্যা দিতে হবে ইভ্যালিকে।

কারণ দর্শানোর সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটিকে আরও ছয়টি বিষয় জানাতে বলা হয়েছে। সেগুলো হলো:

১. চলতি বছরের ১৪ মার্চ পর্যন্ত গ্রাহক ও মার্চেন্টদের কাছে মোট ৪০৭ কোটি টাকার বেশি দায় এর বিপরীতে মাত্র ৬৫ কোটি টাকা চলতি সম্পদ থাকার কারণ কী? অবশিষ্ট টাকা ইভ্যালির কাছে আছে কিনা- থাকলে সে বিষয়ে তথ্য এবং না থাকলে তার পরিপূর্ণ ব্যাখ্যা দিতে হবে।

২. ১৫ জুলাই পর্যন্ত গ্রাহকদের কাছে মোট দায়ের পরিমাণ কত? গ্রাহকদের কাছ থেকে নেওয়া অগ্রিম অর্থের বিপরীতে প্রতিশ্রুত পণ্য প্রদানের বর্তমান অবস্থা ও এ নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?

৩. ১৫ জুলাই পর্যন্ত মার্চেন্টদের কাছে দেনার পরিমাণ, তা পরিশোধের বর্তমান অবস্থা এবং এ বিষয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

৪. ব্যবসা শুরুর পর থেকে ১৫ জুলাই পর্যন্ত ইভ্যালি কী পরিমাণ অর্থ গ্রহণ করেছে, মার্চেন্টদের কী পরিমাণ অর্থ শোধ করেছে এবং প্রশাসনিক ও অন্যান্য খাতে কী পরিমাণ অর্থ খরচ করা হয়েছে তার পূর্ণাঙ্গ বিবরণ

৫. ইভ্যালির ব্যবসা পদ্ধতি ও বর্তমান অবস্থা থেকে উত্তরণের পরিকল্পনা

৬. ডিজিটাল কমার্স নীতিমাল (সংশোধিত) এবং ডিজিটাল কমার্স পরিচালনা নির্দেশিকার সঙ্গে সামঞ্জস্যহীন কোনো ব্যবসায় পদ্ধতি, কার্যক্রম ইভ্যালিতে এখনও আছে কিনা? থাকলে কী এবং সে বিষয়ে গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা দিতে হবে।

বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ই–কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর সার্বিক পরিস্থিতি এবং এ বিষয়ে করণীয় সম্পর্কিত এক বৈঠকে ইভ্যালিকে এই নোটিশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয় রবিবার। বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন, বাংলাদেশ ব্যাংক, জননিরাপত্তা বিভাগ, তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের নিবন্ধকের কার্যালয় (আরজেএসসি) এবং ই–কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইক্যাব) প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এমন প্রেক্ষাপটে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে গ্রাহকদের বিভিন্ন অভিযোগের বিষয়ে পর্যালোচনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ

Leave a Comment