ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে সাপ আতঙ্ক!

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে সাপ আতঙ্ক!

ইমানুল সোহান, ইবিঃ করোনাভাইরাসে দীর্ঘদিন বন্ধ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দেখা দিয়েছে সাপ আতঙ্ক। ঝোপঝাড় পরিস্কার না করায় আবাসিক হল- এলাকা, রাস্তাসহ বিভিন্ন স্থানে অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছে বিষাক্ত সাপ।

এতে ক্যাম্পাসে আবাসিক এলাকায় অবস্থানরত আবাসিক শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে বিরাজ করছে সাপ আতঙ্ক। এছাড়া ক্যাম্পাস পাশ্ববর্তী এলাকায় অবস্থানরত শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন প্রয়োজনে হল ও ক্যাম্পাসে নিয়মিত যাতায়াত করে। এতে শিক্ষার্থীদের মাঝেও সাপ আতঙ্ক বিরাজ করছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, ক্যাম্পাসের রাস্তাগুলোর দু’ধার দিয়ে আশঙ্কাজনকহারে বেড়েছে ঝোপ-ঝাড়। বিভিন্ন স্থানে জমেছে আবর্জনার স্তুপ। এছাড়াও আবাসিক হলসমূহ, মফিজ লেক, ক্রিকেট মাঠ, ফুটবল মাঠ, টিএসসিসি, কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন এলাকা, একাডেমিক ভবনগুলোর চারদিকে ও শিক্ষকদের আবাসিক এলাকা ঝোপঝাড়ে ভরে উঠেছে ।

এ বিষয়ে একাধিক শিক্ষক ও শিক্ষার্থী জানান, ‘ক্যাম্পাসে ঝোপঝাড় বেড়ে যাওয়ার সাপের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। অতিরিক্ত গরমে দিন কিংবা রাতে বিষাক্ত সাপগুলো রাস্তায় বের হয়। এতে আমাদের মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে চলাফেরা করতে হয়। এজন্য প্রশাসনের উচিত ক্যাম্পাসের ঝোপঝাড় পরিস্কার করা।’

এছাড়াও ক্যাম্পাসের আবাসিক হলগুলোর সিঁড়ি ও রুমের ভিতরে সাপের খোলস পড়ে থাকতে দেখা গেছে। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে প্রায় ২০টিরও অধিক সাপ মারা পড়েছে।

শিক্ষক- শিক্ষার্থী ছাড়াও ক্যাম্পাস নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত আনসার সদস্যের ঝুঁকি আরও বেশি। ক্যাম্পাস নিরাপত্তার স্বার্থে রাতদিন তাদের বাহিরে অবস্থান করতে হয়। এতে তাদেরও মাঝে সাপ আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সাদ্দাম হোসেন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মনিরুজ্জামান বলেন, ‘কয়েকদিন আগে হল থেকে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিতে ক্যাম্পাসে যাই। অাগের তুলনায় হলের চারিদিকে ঝোপঝাড় অনেক বেড়েছে। হলের ভিতরে বিভিন্ন স্থানে ও সিড়িতে অসংখ্য সাপের খোলস পড়ে থাকতে দেখা যায়। এটা রীতিমতো ভয়ের কারণ। অাশঙ্কা জাগে না জানি কখন হুট করে সাপ বেরিয়ে অাসে। সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া জরুরী।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারের ভারপ্রাপ্ত প্রধান চিকিৎসক ডা. এস এম নজরুল ইসলাম বলেন, সাপে কাটার প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা মেডিকেল সেন্টারে রয়েছে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘কাউকে সাপে দংশন করুক এটা আমরা চাইনা। সাপের উপদ্রব রোধে দ্রুত ঝোপ-ঝাড় অপসারণ করা হবে। নিরাপত্তার স্বার্থে ক্যাম্পাসের লাইটিং সিস্টেম মেরামত করা হবে। সাপে কাটার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *