এইচএসসি পরীক্ষার সংখ্যা কমানোর চিন্তাভাবনা চলছে : শিক্ষামন্ত্রী

জাতীয় টুডে


করোনা পরিস্থিতি অনুকূলে আসার ১৫ দিন পর এইচএসসি পরীক্ষা নেয়ার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেন, আমরা কম সময়ে পরীক্ষা নিতে পারি কি না, কম সংখ্যক পরীক্ষা নিতে পারি কি না-আমরা সবকিছুই ভাবছি।

শনিবার শিক্ষা বিষয়ক সাংবাদিকদের আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।

ডা. দীপু মনি আরও বলেন, এইচএসসি পরীক্ষার নেওয়ার পূর্ণ প্রস্তুতি আমাদের রয়েছে। আমি আগেও বলেছি যখনই অনুকূল পরিস্থিতি হবে তার ১৫ দিনের মধ্যে পরীক্ষা নিতে পারব। এ ১৫ দিন শিক্ষার্থীদের নোটিশ দিতে হবে। তাদের প্রস্তুতি ঝালিয়ে নিতে সময় দিতে হবে।

অনুষ্ঠানে পরীক্ষার বিকল্প উপায়গুলো তুলে ধরেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, অনির্ধারিত বন্ধে দেশের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে এ বছর আর ক্লাস হওয়ার খুব একটা সময় থাকছে না। আমরা হিসেব করে দেখেছি বছরে ১৩০ থেকে ১৪০ দিন ক্লাস হয় আর সাধারণ ছুটি থাকে ১০০ দিনের মতো। করোনাকালে পড়াশোনা যাতে স্বাভাবিক হয় এ কারণে আমরা এই সময়টা কমিয়ে আনার চেষ্টা করছি। এ বছর আমরা প্রয়োজনে আমাদের সেশনের সময় বাড়িয়ে হলেও শেষ করার চেষ্টা করবো এবং আগামী বছর বিভিন্ন সময়ের ছুটি কমিয়ে সমন্বয় করার চেষ্টা করবো।

দীপু মনি বলেন, আমরা কারিগরিতে শেখাতে চাই। যেটুকু শেখানো দরকার ও শেখানো উচিত তা না করে আমরা কাউকে সার্টিফিকেট দিবো না। প্রাকটিক্যালে ন্যূনতম শিক্ষা না দিতে পারলে কাউকে সার্টিফিকেট দেবো না। তবে, এখন আর এটি ভাবার সুযোগ নেই যে, একেবারে প্রাকটিক্যাল ক্লাসরুম ছাড়া বা ওয়ার্কশপ ছাড়া আপনি শিখতে পারেন না।

মন্ত্রী বলেন, এখন কিন্তু ভার্চুয়াল ল্যাবরেটরিরও কনসেপ্ট আছে এবং সেটি প্রচলিতও আছে। আমরা হয়তো এখনো সেই প্রযুক্তিতে যাইনি। তবে সামনে এ ধরনের প্রযুক্তি যাতে ব্যবহার করতে পারি তা নিয়ে কাজ চলছে।

উল্লেখ্য, গত ১ এপ্রিল থেকে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরুর কথা থাকলেও করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে তা স্থগিত করা হয়। এরপর থেকে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *