একটি হতাশার মোড়ের গল্প

ফিচারঃ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে যেমন হাসি খুশি আনন্দ ও আড্ডার সময় অতিবাহিত হয় তেমনি কারো জীবনে দুঃখের বন্যা নিয়ে আসে হতাশার কিছু মুহুর্ত যা নিজেকে একাকী করে দেয় ঠিক এমন একটি সময়ে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দৌড়ে যায় হতাশার মোড় এই মোড়ের রয়েছে একটি ইতিহাস যেটি এক সময় প্রতিটি ছাত্রের হৃদয় ভেঙ্গে হতাশায় ঠেলে দিয়েছিল

এটার ইতিহাস সম্পর্কে জানা যাক, হতাশার মোড়টি প্রশাসনিক ভবন থেকে সোজা উত্তর দিকে আব্দুস সালাম হল রোড ও লাইব্রেরি ভবন রোডের মিলনস্থলে অবস্থিত যেখানে দাড়ালে দেখা যাবে সূর্যমুখী আর কাশফুলের সমাহার অন্য দিকে তাকলে দেখা যাবে গোলচত্বর আর শহীদ মিনারের সৌন্দর্যে মনোরম পরিবেশে সাজানো দৃশ্য যা দেখে মনে হবে নিজেকে সুখের মাঝে বিলিয়ে দেওয়ার একটি পরিবেশ।

কিন্তু না, এটি ভিন্ন প্রকৃতির পরিবেশ এখান থেকে সুখ আসেনা এখানে ভেসে আসে হতাশার গন্ধ আজ থেকে ১২ বছর আগে যেখানে এসে থেমে যেতে ক্যাম্পাসের ছেলেদের পায়ের কদম কখনো এটি হয়ে যেত প্রেমিক-প্রেমিকাদের দিনের শেষ সাক্ষাৎ এর একটি পরিচিত স্থান তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েদের একটি হল ছিল মিলনস্থল থেকে পশ্চিম দিকে ৩ মিনিট হেটে যাওয়া যায় রাস্তাটির দুপাশে ছিল সারি সারি গাছ যা আপনাকে দিতে পারে নয়ানাবিরাম নৈসর্গিক, প্রাকৃতিক সৌন্দযের্র আত্মতৃপ্তি কিন্তু সে-সময় এই পথে ছেলেদের চলাফেরায় ছিলো প্রশাসনিক নিষেধাজ্ঞা। এই দিকে অনেক সৌন্দর্য থাকা সত্ত্বেও ছেলেদের পায়ের গতি থেমে যেত মোড়ে এসে কখনো তাকিয়ে আফসোস করত আর হতাশায় ভুগত

দেখা যেত প্রেমিক প্রেমিকা ও বন্ধু বান্ধবীরা সারাদিন ঘুরাফেরা করে এক পর্যায়ে যখন এই মোড়ে আসত তখন দুজন আলাদা হয়ে একে অপরের দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে দুদিকে চলে যাওয়ার মুহুর্তে উভয়ের মনেই এক ধরনের শূন্যতা কাজ করত আর বাড়িয়ে দিত হতাশাকে যে স্থানটি আজ সকলের কাছে হতাশার মোড় নামে পরিচিত।


মাইনুদ্দিন পাঠান
শিক্ষার্থী, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।


 

Scroll to Top