সানজিদ আরা সরকার বিথী
করোনার প্রাদুর্ভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কার্যক্রম বন্ধ হয়েছে মার্চের ১৮ তারিখ হতে।
সকল শিক্ষার্থীদের প্রাণের ক্যাম্পাস রেখে নিজ নিজ বাড়িতে অবস্থান করছে। ক্যাম্পাসে নেই কোনো কলরব, শান্তির নীড়ে ঘুমাচ্ছে যেন ক্যাম্পাস।।
ঢাবিতে মেয়েদের হল আছে ৫ টি আর ছেলেদের হল ১৩ টি। করোনার প্রাদুর্ভাবে অনেক শিক্ষার্থীদের তাড়াহুড়োয় নিজেদের প্রয়োজনীয় জিনিস হলেই রেখে এসেছে।
কেউ হয়তো কল্পনাও করেনি যে এতদিন ক্যাম্পাস বন্ধ থাকবে। ছেলেরা নিজেদের হলে গিয়ে প্রয়োজনীয় জিনিস আনতে পারলেও মেয়েদের হলে ঢুকার অনুমতি দেয়া হচ্ছেনা।
সেই প্রেক্ষিতে প্রতিনিয়ত মেয়েদের হলের গ্রুপে মেয়েরা নিজেদের উদ্বিগ্নতা প্রকাশ করছে।কারন ল্যাপটপ বা ইলেকট্রনিক জিনিস এতদিন পরে থাকলে নষ্ট হয়ে যাবে।
তাছাড়া প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, সার্টিফিকেট ইঁদুর বা পোকামাকড়ের আক্রমনের ভয় তো থেকেই যায়।সারাজীবনের অর্জিত সার্টিফিকেট যদি নষ্ট হয় সেই দায়ভার কে নেবে!।প্রতিনিয়ত ছাত্রীরা হাউজ টিউটর ম্যামদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা চালিয়ে অনেকটা অনিশ্চিয়তার মাঝে আছে।
অতঃপর হল সংসদের সাহায্য চাইলে হল সংসদ চেষ্টা করছে একটা ব্যবস্থা করতে।
এমতাবস্থায় ঢাবি ছাত্রীদের একটাই চাওয়া যেন তাদেরকে একবার হলে ঢুকতে দেয়া হোক যাতে করে তাদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র আনতে পারে।