করোনার দুঃসময়ে বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ানোর উদ্যোগ একদল জবি শিক্ষার্থীর

ফারহান আহমেদ রাফি
জবি প্রতিনিধি


অবিরাম বৃষ্টি এবং উজান থেকে নেমে আসা ঢলে দেশের প্রধান প্রধান নদনদীর পানি বেড়েই চলেছে। এতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটেছে এবং বিভিন্ন নদনদীর ২৩টি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে।

এর প্রভাবে এ পর্যন্ত প্রায় ৩১ টি জেলার নিম্নাঞ্চল তলিয়ে গেছে। চলতি মাস পেরিয়ে আগস্টের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত বন্যা স্থায়ী হতে পারে বলে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র এসব তথ্য দিয়েছে।

একদিকে মহামারি করোনার কারণে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষদের আয় রোজগার বন্ধ অপরদিকে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় উত্তর ও পূর্বাঞ্চলের বিস্তীর্ণ জনপদে চরম দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে খাদ্য ও পানীয় জলের তীব্র সংকটে পড়েছেন বানভাসি মানুষ। সরকারি হিসাবে, ইতোমধ্যে প্রায় তিন লাখ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। সে হিসাবে ১০ লাখের বেশি মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছেন। বন্যায় সাড়ে ১৪ লাখের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর আসছে। বিভিন্ন স্থানে নদীভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে।

ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা, পদ্মা, যমুনা ও সুরমাসহ প্রধান নদীগুলোর পানিপ্রবাহের তোড়ে ভাঙনে বিলীন হচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম। বন্যায় অনেক দরিদ্র পরিবারের বাড়িঘর, সহায়-সম্পদ যা ছিল সব কিছু শেষে হয়ে গেছে। এসব ক্ষতিগ্রস্ত লোকদের সাহায্য করাই ধর্মের শিক্ষা।

আর এর মাধ্যমেই আল্লাহপাক বান্দার প্রতি সন্তুষ্ট হোন। আল্লাহপ্রেমিক বান্দারা ঘরে বসেই তার বান্দাদের কষ্ট দূর করার মাধ্যমে আল্লাহপাকের সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারে। যারা তার বান্দার কষ্টের সময় সহযোগিতার হাত প্রসারিত করে আল্লাহপাক তাদের তার বন্ধু বানিয়ে নেন।

করোনার এই দুঃসময়ের মধ্যেও এসব বন্যার্ত মানুষের পাশে দাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থীরা ।তারা রাস্তায় হেঁটে হেঁটে মানুষের থেকে সাহায্য সংগ্রহ করছে অবিরাম। এমনকি বৃষ্টি ও তাদের কে আটকাতে পারছে না, তারা বৃষ্টিতে ভিজে ও সাহায্য সংগ্রহ করে যাচ্ছে ।

আর তারা হলেন পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ১২ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী কনিক স্বপ্নীল , ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ১২ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান, ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ১৩ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মোহন আলি খান, ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ১৪ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী রাফসান জামিল রাজু ও প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ১৪ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ফারহান আহমেদ রাফি।

এ বিষয়ে কনিক স্বপ্নীল এর কাছে জানতে চাইলে তিনি আমাদের প্রতিনিধিকে জানান, করোনা মহামারীর সাথে সাথে বর্তমানে দেশের প্রায় ৩১টি জেলার মানুষ বন্যা, পানিবন্ধী, নদীভাঙ্গনের স্বীকার। এমতাবস্থায়, দেশের সচেতন নাগরিক হিসেবে আমাদের সবার উচিত যে যার জায়গা থেকে সাধ্যমত তাদের পাশে দাঁড়ানো, সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দেয়া। বরাবরের মত এবারও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানো ক্ষুদ্র চেষ্টা করে যাচ্ছি। প্রয়োজন আপনাদের একান্ত সহযোগিতা ও আর্শীবাদ। আসুন আমরা সবাই বন্যার্তদের সহযোগিতায় সাধ্যমত এগিয়ে আসি।

আমরা কি পারি না এই সব দুর্যোগ কবলিত লোকদের পাশে গিয়ে দাঁড়াতে? আমরা কি পারি না তাদের দুঃখের দিনের বন্ধু হতে? মানুষ হিসেবে কি আমাদের ওপর এই দায়িত্ব বর্তায় না তাদের সাহাজ্য করা? সমাজে অনেক এমন মানুষও রয়েছেন যারা সবসময় অন্যের সাহায্যের জন্য নিবেদিত থাকে।



সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা

বিকাশ: 01990220057 (কনিক)
01977717498 (মোহন)
01642307692 (রাজু) 01721960971( রাফি)

রকেট: 016208394283 (মেহেদী)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *