করোনার প্রাদুর্ভাব কমাতে ‘রুট অব ট্রান্সমিশন’ বন্ধ করতে হবে: যবিপ্রবি ভিসি

ওয়াশিম আকরাম, যবিপ্রবি প্রতিনিধি


“করোনাভাইরাস মানুষ থেকে মানুষে ছড়ায়। সুতরাং এ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব কমাতে এর ‘রুট অব ট্রান্সমিশন’বন্ধ করতে হবে বলে জানিয়েছন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন।

বুধবার (১১ মার্চ) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একাডেমিক ভবনের গ্যালারিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীববিজ্ঞান বিভাগে করোনা-ভাইরাস সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে এক সেমিনারের তিনি এসব কথা বলেন। সেমিনার আয়োজনে সহায়তা করে ‘এ টিম ফর হিউম্যান ডেভোলপমেন্ট বাংলাদেশ’।

সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন করোনাভাইরাস সম্পর্কে বলেন, করোনাভাইরাস মানুষ থেকে মানুষে ছড়ায়। সুতরাং এ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব কমাতে এর ‘রুট অব ট্রান্সমিশন’বন্ধ করতে হবে। সরকার ইতিমধ্যে এ বিষয়ে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। গণমাধ্যমেও এ বিষয়ে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। কিন্তু আমরা সচেতন না হলে কোনো কিছুই কাজে আসবে না। তিনি বলেন, শীত প্রধান অঞ্চলে এ রোগ ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি বেশি। উষ্ণপ্রধান অঞ্চলে এ রোগের বিস্তারের ঝুঁকি কম। কিন্তু ঝুঁকিমুক্ত নয়।

এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সকল সদস্যকে করোনা ভাইরাস সম্পর্কে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

সেমিনারে সভাপতির বক্তব্যে অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোঃ ইকবাল কবীর জাহিদ বলেন, করোনা ভাইরাসের বিষয়ে যে পরিমাণ আতঙ্ক ছড়ানো হচ্ছে, সেই পরিমাণ আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। তারপরেও এটা যেন আমাদের দেশে মহামারী আকার ধারণ করতে না পারে এ বিষয়ে আমাদের সচেতন হতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. দীপক কুমার মন্ডল করোনা ভাইরাস থেকে সচেতন হওয়ার জন্য জীবাণুনাশক ও সাবান জাতীয় দ্রব্য দিয়ে দুই হাত ঘন ঘন ধুয়ে ফেলা; যেখানে সেখানে কফ ও থুথু না ফেলা; হাত দিয়ে নাক, চোখ ও মুখ স্পর্শ থেকে বিরত থাকা এবং হাঁচি-কাশির সময় টিস্যু অথবা বাহুর ভাজে নাক-মুখ ঢেকে ফেলাসহ বিভিন্ন পরামর্শ দেন তিনি।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন যবিপ্রবির ডিনস কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোঃ আনিছুর রহমান। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিভাগ ও দপ্তরের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন। সেমিনার পরিচালনা করেন যবিপ্রবির ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ফারহানা ইয়াসমিন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *