রাশিয়ার বিজ্ঞানীদের তৈরি নভেল করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) ভ্যাকসিন পুরোপুরি প্রস্তুত বলে জানিয়েছে দেশটির উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী রুশলান সালিকোভ।
আজ মঙ্গলাবার রুশ উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী রুশলান সালিকোভ স্থানীয় সংবাদপত্র আরগুমেন্টি আই ফ্যাক্টিকে জানিয়েছেন, রাশিয়ায় করোনা ভ্যাকসিন স্বেচ্ছায় যারা শরীরে নিয়েছিলেন তাদের সকলকে পরীক্ষা করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাদের সবার দেহেই অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে এবং সবাই পুরোপুরি সুস্থ আছে।
রাশিয়ার সামরিক বিশেষজ্ঞ দল এবং গ্যামেলিয়া রিসার্চ সেন্টারের যৌথ প্রচেষ্টায় এটি তৈরি করা হয়েছে।
এদিকে ৩০ জুন রাশিয়ার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বার্তাসংস্থা তাসকে জানানো হয়েছিল, করোনার ভ্যাকসিনের অনুমোদনপত্রের জন্য দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে সকল প্রয়োজনীয় তথ্য ও প্রমাণাদি পাঠানো হয়েছে।
জুন অর্থাৎ গিত মাসে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরুর পর রাশিয়ার বারডেনকো সামরিক হাসপাতালে ৪৩ জন এবং শেচেনোভ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৩ জন স্বেচ্ছাসেবকের ওপর ওই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করার কথা বলা হয়।
সামরিক হাসপাতালে ভ্যাকসিন প্রয়োগের সব ধাপ সম্পন্ন হয়েছে এবং তাদেরকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে গতকাল জানানো হয়েছে।
সোমবার অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের তৈরি করোনাভাইরাসের একটি ভ্যাকসিন মানবদেহে প্রাথমিক ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে নিরাপদ এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উজ্জীবিত করতে সক্ষম হয়েছে বলে জানানো হয়। এই গবেষণা প্রকাশিত হওয়ার পর অনেকেই আশা করছেন চলতি বছরের শেষের দিকে ভ্যাকসিনটি চলে আসতে পারে।
গেল বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহানে নভেল করোনাভাইরাসের উৎপত্তি হয়। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত বিশ্বের দুই শতাধিক দেশে ছড়িয়েছে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস। বিশ্বজুড়ে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় দেড় কোটি মানুষ এবং মারা গেছেন ৬ লাখ ১৩ হাজারের বেশি।
বিশ্বজুড়ে করোনায় সংক্রমণ এবং মৃত্যু বাড়লেও এই রোগ নির্মূলে এখন পর্যন্ত কোনও ভ্যাকসিন চূড়ান্ত অনুমোদন পায়নি। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরির দৌড়ে শীর্ষে যারা রয়েছে, তাদের মধ্যে অক্সফোর্ড অন্যতম।
সৌজন্যে: জাগোনিউজ২৪ডটকম।