কিভাবে ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করা হয়?

কিভাবে ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করা হয়?

হৃদয় পালঃ পৃথিবীর বৃহত্তম ব-দ্বীপ বাংলাদেশ। বঙ্গোপসাগরের উপকূলে অবস্থিত হওয়ায় প্রায়শই ঘূর্ণিঝড় নামক দূর্যোগের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে উপকূলীয় অঞ্চলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।তবে বর্তমান সময়ে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সরকারি সক্ষমতা অর্জন করায়,ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।

বর্তমানে ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াশ’ হানা দিয়েছে। কিন্তু আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিবৃতিতে রুহুল কুদ্দুস জানিয়েছেন বাংলাদেশ এ ঝড়ের আঘাত হানার সম্ভাবনা ক্ষীণ ।এর আগে ২০০৭ সালে ঘূর্ণিঝড় ‘সিডর’,২০০৯ সালে ঘূর্ণিঝড় ‘আইলা’,২০১৩ সালে ঘূর্ণিঝড় ‘মহাসেন’,২০১৫ সালে ঘূর্ণিঝড় ‘কোমেন’,২০১৬ সালে ঘূর্ণিঝড় ‘রোয়ানু’,২০১৭ সালে ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ ও ২০১৯ সালে ঘূর্ণিঝড় ‘ফনী’ ও ‘বুলবুল’ আঘাত হেনেছে।

বর্তমানে ঘূর্ণিঝড়ের বিভিন্ন নাম হওয়ার কারণে,জনমনে পরবর্তী ঘূর্ণিঝড়ের নাম কি হবে এ নিয়ে উৎসাহ দেখা যাচ্ছে। চলমান ঘূর্ণিঝড়টির নাম ‘ইয়াশ’;নামটি দিয়েছে ওমান।ইয়াশ একটি পার্সি শব্দ, যার অর্থ হতাশা বা দুঃখ।ভারত, বাংলাদেশ, মায়ানমার, ওমান, পাকিস্তান, কাতার, সৌদি আরব, শ্রীলঙ্কা-সহ ১৩টি দেশ নিয়ে গঠিত কমিটি ওমানের দেওয়া এই নামটি স্থির করেছে।

আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী, যে মহাসাগরে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়, তার অববাহিকায় থাকা দেশগুলি নামকরণ করে। পৃথিবীতে মোট ১১টি সংস্থা ঝড়ের নাম ঠিক করে। তবে, ঝড়ের নাম দেওয়ার রীতি চলতি শতকের শুরুতে সূচনা হয়।যাতে একই সময় একই সমুদ্রে একাধিক ঝড় উঠলে সাধারণ মানুষ ও আবহাওয়াবিদরা ঝড় নিয়ে বিভ্রান্ত না হয়।একবিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে ঝড়ের আগের কোন ঘটনানুসারে বা ঝড়ে কোন জাহাজডুবি হলে ;সেসব ঘটনা বা জাহাজের নাম অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করা হতো।

পরবর্তীতে ওয়ার্ল্ড মেটেরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশন ও ইউনাইটেড নেশনস ইকোনমিত অ্যান্ড সোশ্যাল কমিশন ফর এশিয়ার সদস্য দেশগুলি ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ শুরু করে। ইয়াশ নামক ঘূর্ণিঝড়টির পর আরও যে ঘূর্ণিঝড়েগুলোর নাম ঠিক করা হয়েছে, সেগুলি হল গুলাব, সাহিন, জাওয়াদ, অশনি, সীতরাং, মানদৌস, মোচা।

শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ

Leave a Comment