কি পরিবর্তন ঘটে গেল! বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে এসে আর কত লাশ হবে?

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও মূকাভিনয় শিল্পী হাফিজুর ৮ দিন ধরে নিখোঁজ থাকার পর নবম দিন তার লাশ সনাক্ত ঢাকা মেডিক্যালের মর্গে।

জানা গেছে, ঈদের পরের দিন শনিবার সন্ধ্যায় শহীদ মিনারের কাছে গলায় কোপের আঘাতে আহত হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়। পরে সেদিনই তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানে মারা যায়।

হাফিজুরের সহপাঠীরা জানান, ঈদুল ফিতরের পরদিন অর্থাৎ গত শনিবার গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেন হাফিজুর। পরে বন্ধুদের সাথে ক্যাম্পাস এলাকায় আড্ডার শেষে তিনি চলে যান। তার মায়ের সাথে সর্বশেষ কার্জন হলের সামনে বসে মোবাইলে কথা বলেছিলেন তিনি। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন।

একটা তরতাজা ছেলে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিয়ে মায়ের সাথে কথা বলে বাসায় ফেরার পথে নাই হয়ে গেল। বড় নৃশংস কিছু ঘটেছে বলে মনে হচ্ছে। কিন্তু কে বিচারের দাবি করবে।

আমাদের সময় একটা মৃত্যু মানে “আমার ভাই মরল কেন খুনি X জবাব দাও” স্লোগানে ক্যাম্পাস প্রকম্পিত হয়ে যেত। এখনতো ক্যাম্পাস বন্ধ। আর খোলা থাকলেও প্রতিবাদ তেমন হতো না। কেউ করতে চাইলেও থামিয়ে দেওয়া হতো। কি পরিবর্তন ঘটে গেল! বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে এসে আর কত লাস হবে?

লিখেছেনঃ কামরুল হাসান মামুন,
অধ্যাপক, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। 

Scroll to Top