ক্যাম্পাস টুডে’তে সংবাদ প্রকাশের পর ইসমাইলের পড়াশোনার দায়িত্ব নিলেন অধ্যক্ষ

আরাফাত হোসেন, জিটিসি


মোঃ ইসমাইল হোসেন, জীবন সংগ্রামে হার না মানা এক সংগ্রামী। অন্য সবার মত স্বাভাবিক নয় ইসমাইলের জীবন। জন্মগতভাবে সে শারীরিক প্রতিবন্ধী। পড়ছেন সরকারি তিতুমীর কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২য় বর্ষে।

ইসমাইলের এই ক্ষুদ্র সংগ্রামী জীবনে রয়েছে অনেক বাঁধা-বিপত্তি আর প্রতিকূলতার গল্পে ভরপুর। জীবনের বাঁকে বাঁকে এমন অনেক সময় এসেছে যে ইসমাইল চাইলেই পারতো অন্য প্রতিবন্ধী মানুষের মত ভিক্ষাবৃত্তি বেঁছে নিতে। কিন্তু যারা ইতিহাস গড়তে আসে তারা শত প্রতিকূলতাকে উপেক্ষা করে জীবনের উত্তাল সমুদ্রে ঝাঁপিয়ে পড়ে।

জন্মের পর থেকেই ইসমাইল হোসেনের দুই পা বিকল। শত প্রতিকূলতার মুখোমুখি হয়েছেন। বাবার মৃত্যুর সংসারে ঘিরে বসেছে অসচ্ছলতা। দমে যাননি বারংবার ঘুরে দাঁড়িয়েছেন। কিন্তু রাজ্যের দারিদ্রতা যেনো কিছুতেই তার পিছু ছাড়ছে না।


প্রকাশিত সংবাদটি পড়ুনঃ ইসমাইল হোসেন জীবন যুদ্ধে প্রতিনিয়ত লড়ে যাওয়া এক সংগ্রামী


এই অদম্য ইসমাইলকে নিয়ে সাম্প্রতিককালে দ্যা ক্যাম্পাস টুডেতে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। বিষয়টি নজর এড়ায়নি সরকারি তিতুমীর কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আশরাফ হোসেনের।

তিনি ইসমাইলের সার্বিক খোঁজ খবর নেন। অনার্স পর্যন্ত ইসমাইলের সব খরচ বহন করার প্রতিশ্রুতি দেন। এছাড়াও তিনি ইসমাইলের আবাসনেরও ব্যবস্থা করে দিবেন বলে জানিয়েছেন।

অধ্যক্ষ প্রফেসর আশরাফ হোসেন বলেন, “ইসমাইলকে প্রথমে সাধুবাদ জানাই। কারণ শারীরিক প্রতিবন্ধকতাও তাকে দমাতে পারেনি। তার সাফল্য কামনা করি। এছাড়াও তার সব ধরনের সহযোগিতায় তার পাশে আছি।”

অধ্যক্ষ প্রফেসর আশরাফ হোসেনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে অশ্রুকাতর হয়ে ইসমাইল বলেন, “ছোটোবেলায় বাবাকে হারিয়েছি। এখন মনে হচ্ছে বাবাকে পেলাম। স্যারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।”

Scroll to Top